বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: ভোটের মুখে নন্দীগ্রামে অস্ত্র কারখানার হদিশ মিলল। অভিযোগ, লেদ কারখানার আড়ালে চলছিল বেআইনি কারবার। অস্ত্র-সহ বাড়ির মালিক ও তাঁর স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত বিজেপি করে বলে দাবি তৃণমূলের। যদিও বিজেপির পাল্টা দাবি, এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে তৃণমূলের মদত তৈরি হচ্ছিল অস্ত্র।
নন্দীগ্রামে কি এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর লড়াই হবে? এটাই এখন বড় প্রশ্ন। তবে ভোটযুদ্ধের মুখে নন্দীগ্রামে মিলল অন্য যুদ্ধের সামগ্রী। হদিশ মিলল অস্ত্র কারখানার হদিশ। অভিযোগ, লেদ কারখানার আড়ালে হোসেনপুরে শেখ রুকুমউদ্দিনের বাড়িতে চলছিল এই কর্মকাণ্ড। মঙ্গলবার পুলিশি অভিযানে উদ্ধার হয় কয়েকটি অর্ধসমাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র। বাজেয়াপ্ত করা হয় লেদের সরঞ্জাম। নন্দীগ্রামের হোসেনপুরের বাসিন্দা শেখ ইউনুস জানান, খুব আওয়াজ হত, কী হত বলতে পারব না, আমরা বলতাম বন্ধ করো, শুনত না ৷
নন্দীগ্রামে অস্ত্র কারখানার খোঁজ মেলায় একে অপরের দিকে আঙুল তুলেছে তৃণমূল ও বিজেপি। তৃণমূল নেতা শেখ সাহাবুদ্দিনের মতে, ‘‘রুকুমউদ্দিন আগে সিপিএম করত, এখন বিজেপি করে। লেদ মেশিনের আড়ালে অস্ত্র কারখানা চলত। পুলিশকে জানাই, পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে সাতটি অস্ত্র উদ্ধার করেছে ৷’’
বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য নীলাঞ্জন অধিকারী জানান, নন্দীগ্রামে ভোটের আগে এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি করতে তৃণমূল অস্ত্র তৈরি করছিল। যাতে নন্দীগ্রামের মানুষ ভোট দিতে না পারে ৷ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ বাড়ি মালিক ও তাঁর স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। পয়লা এপ্রিল ভোট নন্দীগ্রামে৷