বিটন চক্রবর্তী, ঋত্বিক মণ্ডল, পূর্ব মেদিনীপুর:  নন্দীগ্রামে শেষবেলার প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনেই দু-দুবার জয় শ্রীরাম স্লোগান দিলেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। ধেয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ের দিকে। প্রথমে রেয়াপাড়ায়। পরে মহম্মদপুরবাজারে। পরিস্থিতি সামাল দিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। গণ্ডগোলের মধ্যে এলাকা ছাড়ল মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়।


রণাঙ্গনের নাম নন্দীগ্রাম। নীলবাড়ির লড়াইয়ের এপিসেন্টারে একই দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অমিত শাহ। যুদ্ধপর্বের আগে শেষ প্রহরের উদ্যোগ পর্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি দেখেই জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিয়ে উঠলেন বিজেপি কর্মীরা।


এক জায়গায় নয়। পরপর দু’জায়গায় জয় শ্রীরাম স্লোগান! প্রথমে রেয়াপাড়ায়, তার কিছুক্ষণের মধ্যেই মহম্মদপুর বাজারে!


কিন্তু, কোনওদিকে ভ্রুক্ষেপ না করেই চলে যান নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী।মঙ্গলবার সকালে রেয়াপাড়ার ভাড়া বাড়ি থেকে বেরিয়ে কনভয় নিয়ে ভাঙাবেড়ার দিকে রওনা হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


বড় পুলের কিছুটা আগে তৃণমূল প্রার্থীর গাড়ি দেখে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা বিজেপি কর্মী সমর্থকদের কয়েকজন জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে শুরু করেন।


কয়েকজন বিজেপি কর্মী সমর্থক আবার দলীয় প্ল্যাকার্ড নিয়ে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ের দিকে ধেয়ে যান।


মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির কাছে পৌঁছনোর আগেই নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের আটকে দেন। এলাকা ছেড়ে চলে যায় মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়.


টেঙ্গুয়া মোড় থেকে ভেকুটিয়া হয়ে কনভয় যখন এগোচ্ছে, সেই সময় মহম্মদপুর বাজারের কাছে নিজেদের দলীয় কর্মসূচিতে যাওয়ার জন্য সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি দেখেই জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে শুরু করেন তাঁরা। এক্ষেত্রেও বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে চলে যায় মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়।


 


নন্দীগ্রামে আজ বিকেল পাঁচটায় শেষ হচ্ছে প্রচার।  তার আগে শেষবেলায় জমজমটা প্রচার নন্দীগ্রাম। নন্দীগ্রামের ভাঙাবেড়ায় রোড শো করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হুইল চেয়ারেই তিন কিলোমিটার রোড শো করেন তিনি। এরপর সোনাচূড়া, বাঁশুলিচক ও টেঙ্গুয়ায় সভা মমতার। শেষ লগ্নে এভাবেই ভোটের প্রচারে ঝড় তুললেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী।