কলকাতা: রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের আগে তুঙ্গে প্রচার। তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রামেও। নন্দীগ্রামের মাটিতে ঘরের লোক-বহিরাগত বিতর্ক। নন্দীগ্রামের প্রচারে ঘরের ছেলে ইমেজ তুলে ধরার চেষ্টা করলেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে কটাক্ষ করে   বললেন, উড়ে এসেছেন, উড়ে চলে যাবেন! শীত, গ্রীষ্ণ, বর্ষা, আমিই থাকব। পাল্টা নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুললেন, কাঁথির ছেলে, নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র কী করে?


 


একদা সহযোদ্ধা,  এখন প্রতিপক্ষ। নন্দীগ্রামে ভোটের আগে দুই প্রতিপক্ষর বাঁধনহীন বাগযুদ্ধ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কটাক্ষ করে বললেন, “একদিন এমন অবস্থা হবে, না ঘরকা থাকবে না ঘাটকা হয়ে যাবে। সেদিন বুঝতে পারবে কী করেছে।”


 


পাল্টা শুভেন্দু বলেছেন, উনি ফেরেব্বাজ, ফোর টুয়েন্টি।


 


জমি আন্দোলনের আঁতুরঘরের ভোট প্রচারের ছত্রে ছত্রে এখন ধর্ম-রাজনীতির মিশেল।কিন্তু, কেউই আবার প্রকাশ্যে তা মানতে নারাজ।


 


নন্দীগ্রামে এখন কে কত দিয়েছে, আর কে কত পেয়েছে, তা নিয়ে দুই প্রাক্তন সহযোদ্ধার মধ্যে বাগযুদ্ধ। একে অপরকে বহিরাগত থেকে বিশ্বাসঘাতক প্রমাণ করার মরিয়া চেষ্টা।


 


ঠাকুরচকের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'আমি পরিবহণমন্ত্রী, পরিবেশ, সেচ, সব তো দিয়েছিলাম, এইচডিএ চেয়ারম্যান করেছি, বাবাকে দিঘা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান করেছি, ওর ভাইকে কাঁথি মিউনিপ্যালিটির চেয়ারম্যান করেছি, কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কর মালিক,এখন টাকা প্রচুর, বিজেপি বলছে, কী টাকা বাঁচাও, না হলে গলায় দড়ি দিয়ে মর'।


 


পাল্টা বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন,' ১০ বছর ধরে নন্দীগ্রামের মানুষ ওনার সঙ্গে ছিলেন উনি কতবার নন্দীগ্রামে গেছিলেন? কেন ওখানে একটা অফিস খুলে উন্নয়ন করলেন না? আজকে আমাদের পার্টির নেতাকে ফোন করে বলছেন, চলে এসো সহযোগিতা করতে। ওকে গদ্দারি শেখাচ্ছেন? গদ্দারিটা উনি করেছিলেন, সেই জন্যে বাকিদের গদ্দার বলার অধিকার নেই ওনার'।


 


তৃণমূল-বিজেপির দুই হেভিওয়েটের শক্তিপ্রদর্শনের মধ্যেই নন্দীগ্রামের তরুণ তুর্কি ছাপোষা সিপিএম প্রার্থীর প্রশ্ন, চাকরি কোথায়? বেকারত্ব ঘুঁচল কোথায়? পেটের ভাত কোথায়?


 


গতকাল নন্দীগ্রামের আসাদতলায় রোড শোয়ের পর সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। গ্রামে আগে থেকে জমায়েত করেছিল তৃণমূল। সভা সেরে শুভেন্দু বেরোতেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল কর্মীরা। শুভেন্দুর গাড়ির দিকে তেড়ে যান গাড়ির দিকে।কেন্দ্রীয় বাহিনী তৎপরতা দেখিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। হটিয়ে দেওয়া হয় বিক্ষোভকারীদের।গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এই ঘটনায় তাদের কোনও দায় নেই।