সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: রাজনীতির ময়দান পেরিয়ে এবার খেলা হবে স্লোগান হাজির সরাসরি বিয়ে বাড়িতে। আর এই স্লোগান নিয়েই তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। বিয়ের অনুষ্ঠানে ক্যাটারিংয়ের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। দেখা যায় আত্মীয়-স্বজন প্রতিবেশী ও বিয়েবাড়ির অতিথিরা প্যান্ডেলের মধ্যে খাওয়া-দাওয়া করছেন। ক্যাটারিংয়ের যাঁরা পরিবেশন করছেন তাঁদের পরনে সবুজ রঙের গেঞ্জি। ওই গেঞ্জিতেই লেখা খেলা হবে স্লোগান। এই নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে।
কোটরা অঞ্চলের পানশিলা গ্রামের বাসিন্দা যুবক ফিরোজ আহমেদের সঙ্গে বিয়ে হয় সৌদিয়ারা খাতুনের। মঙ্গলবার রাতে তাঁদের বৌভাত ছিল। খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। আত্মীয়-স্বজন সবাই এসে প্যান্ডেলের মধ্যে আনন্দের সঙ্গে খেতে বসেন। কিন্তু দেখা যায় যারা ক্যাটারিং করছেন তাঁরা সবাই সবুজ রঙের গেঞ্জি পরেছেন এবং তাতে লেখা খেলা হবে। কেন এই স্লোগান ব্যবহার করা হল? এ প্রসঙ্গে ফিরোজ আহমেদ বলেন, রাজ্য রাজনীতিতে খেলা হবে স্লোগনা নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে। সেই সময় বিয়ের অনুষ্ঠানে খেলা হবে স্লোগান ব্যবহার করার মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই। শুধুমাত্র মজা করা বা আনন্দের ছলে খেলা হবে স্লোগান ক্যাটারিংয়ের গেঞ্জিতে ব্যবহার করা হয়েছে। এখানে বিয়ে বাড়ি অনুষ্ঠানে খাওয়া-দাওয়ার খেলা হবে কে কত বেশি খেতে পারে এই খেলা হবে।
এ বিষয় নিয়ে স্থানীয় যুবনেতা নাজিবুল্লাহ সর্দার বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের খেলা হবে স্লোগান সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি নকল করছে। সেই সময় কে বা কারা বিয়ে বাড়িতে খেলা হবে স্লোগান ক্যাটারিংয়ের গেঞ্জিতে ব্যবহার করেছে। এর মানে হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে এবং বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানের পৌঁছেছে। এ বিষয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপি নেতা তরুণ কান্তি ঘোষ বলেন খেলা হবে মারপিটের খেলা হবে যা তৃণমূল কংগ্রেস শুরু করে দিয়েছে। আর এই স্লোগান বিয়েবাড়িতে ব্যবহার করা হয়েছে এটা তৃণমূলের কারসাজি। ভোটের মুখে একটু প্রচার পাওয়ার আশায় এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে। তবে নব দম্পতি আনন্দের ছলে এই খেলা হবে স্লোগান ব্যবহার করে থাকতে পারেন, তাও উড়িয়ে দেননি তিনি।