WB Election 2021 LIVE Updates: করোনা নিয়ে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে রাজ্য সরকার, দাবি বিজেপির
West Bengal Assembly Election 2021 LIVE Updates: করোনা রুখতে পদক্ষেপ নেই রাজ্য সরকারের
পাতিপুকুর, হাওড়ার পর দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাতগাছিয়া। সাতগাছিয়ার আর্যপাড়ায় গতকাল ভোর ৫টায় মৃত্যু করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধার। প্রায় ১২ ঘণ্টা পর দেহ উদ্ধার। বজবজের ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতির উদ্যোগে উদ্ধার দেহ। পরে মহেশতলায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় বৃদ্ধার। বৃদ্ধার মৃত্যু কোনও তথ্য মেলেনি বলে দাবি পুলিশের।
বিজেপির সাংবাদিক সম্মেলনে সমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, করোনা আতঙ্কের মধ্যেও ভোট দিচ্ছেন মানুষ। করোনা নিয়ে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে রাজ্য় সরকার। করোনা রুখতে পদক্ষেপ নেই রাজ্য সরকারের। ২ মে-র পর রাজ্য নতুন সরকার আসবে।
কমিশনের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ করোনায় মৃত প্রার্থীর স্ত্রীর। উপ নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে অভিযোগ কাজল সিন্হার পরিবারের। খড়দা থানায় সুদীপ জৈনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের প্রার্থীর স্ত্রীর। ২৫ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হয়ে খড়দার তৃণমূল প্রার্থীর মৃত্যু। এব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কমিশনের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
টিটাগড়ে বিজেপির পার্টি অফিস ভাঙচুর। ভাঙচুর করা হয় দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িও। তৃণমূলের বিরুদ্ধে টিটাগড় থানায় অভিযোগ দায়ের বিজেপির। ভিত্তিহীন অভিযোগ, পাল্টা দাবি তৃণমূলের।
গণনার দিন সংক্রমণ রুখতে গাইডলাইন জারি কমিশনের। বলা হয়েছে, ‘আরটিপিসিআর বা র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা করবেন জেলাশাসক। কাউন্টিং এজেন্টদের জন্য গণনা কেন্দ্রে রাখতে হবে যথেষ্ট পিপিই কিট। দু’জন এজেন্টের মাঝে বসলে একজনকে পিপিই কিট পরতে হবে। গণনা কেন্দ্রের কর্মীদের জন্য মাস্ক, স্যানিটাইজার, ফেস-শিল্ড, গ্লাভস বাধ্যতামূলক। গণনার সময় গণনা কেন্দ্রের বাইরে কোনও জমায়েত বরদাস্ত নয়। করোনা বিধি মেনে গণনা কেন্দ্রে সব ব্যবস্থার শংসাপত্র দেবে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।’
মাদ্রাজ হাইকোর্টের তিরস্কারের পর টনক নড়ল কমিশনের। ‘করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট ছাড়া গণনাকেন্দ্রে প্রবেশ নয়। নেগেটিভ রিপোর্ট ছাড়া ঢুকতে দেওয়া হবে না প্রার্থী ও এজেন্টদের। নেগেটিভ রিপোর্ট না থাকলে নিতে হবে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ। গণনা শুরুর ৪৮ ঘণ্টার আগে করাতে হবে করোনা টেস্ট। গণনা শুরুর ৪৮ ঘণ্টার আগে পেতে হবে দুটি টিকার শংসাপত্র। গণনার দিন সংক্রমণ রুখতে গাইডলাইন জারি কমিশনের।
মুর্শিদাবাদের কান্দি ডিসিআরসি-তে অসুস্থ ভোট কর্মী। ভোট সরঞ্জাম সংগ্রহের সময় অসুস্থ ভোট কর্মী। তীব্র গরমে সানস্ট্রোক ভোট কর্মীর, জানালেন চিকিৎসক।
নজরদারির জন্য মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সামনে দিয়েই গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেলেন অনুব্রত মণ্ডল। রাস্তায় তাঁর গাড়ির হদিশ হারিয়ে ফেলল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের গাড়ি। সূত্রের খবর, এরপর বাহিনী তৃণমূলের জেলা সভাপতির গাড়ি খুঁজে বেড়াচ্ছে।
বীরভূমে ভোটের আগে নির্বাচন কমিশনের নজরবন্দি তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে ৩০ এপ্রিল সকাল ৭টা পর্যন্ত তাঁকে নজরবন্দি রাখবে কমিশন। এর জন্য বোলপুরে অনুব্রতর বাড়ির বাইরে মোতায়ন হয়েছে ৮ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। আজ সেই জওয়ানদের এড়িয়ে গাড়ি নিয়ে বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ বেরিয়ে যান অনুব্রত।
ভোটের মধ্যেই তৃণমূল ছাড়লেন প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস। তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে ইমেল করে জানালেন দলত্যাগের সিদ্ধান্ত। ‘কিছুদিন ধরে সিএএ নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে ভিন্ন অবস্থান’। তার জেরেই কি দলত্যাগ উপেন বিশ্বাসের, উঠছে প্রশ্ন। ব্যক্তিগত কারণে তৃণমূল ছাড়ার সিদ্ধান্ত, জানালেন উপেন বিশ্বাস।
বেলাগাম করোনা সংক্রমণের মাঝেই কাল অষ্টম দফার ভোট। বহরমপুর ডিসিআরসি-তে উধাও করোনা বিধি। তার মাঝেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন ভোটকর্মী।
গণনাকেন্দ্রে কোভিড বিধি মানার জন্য এবার কড়া পদক্ষেপ উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের। বারাসাতে ২টি গণনাকেন্দ্র হয়েছে। প্যারিচরণ সরকার রাষ্ট্রীয় বিদ্যালয় ও বারাসাত গভর্মেন্ট কলেজ। নির্বাচন কমিশনের পরামর্শমতো জেলা প্রশাসন দুটি গণনাকেন্দ্রেই টেবিল সংখ্যা কমাচ্ছে। কমানো হবে গণনাকর্মীদের সংখ্যাও। রাখা হবে না সাপোর্ট স্টাফ। প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে অনুরোধ করা হয়েছে, গণনাকক্ষে ন্যূনতম কাউন্টিং এজেন্ট রাখার জন্য। গণনাকেন্দ্রে ঢোকা ও বেরনোর আলাদা পথ থাকছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর।
ভোটের মুখে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল বীরভূমের সাঁইথিয়া ও ময়ুরেশ্বরে। সাঁইথিয়া থানার আমোদপুর ফাঁড়ি এলাকার শিওড় গ্রামের পুকুর পাড় থেকে ৩টি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। খবর দেওয়া হয় বম্ব স্কোয়াডকেও।
ময়ুরেশ্বর বিধানসভার রংতাড়া গ্রামে বিজেপির বুথ সভাপতি জগন্নাথ চক্রবর্তীর বাড়ির দেওয়ালে প্লাস্টিকের ব্যাগে ২টি তাজা বোমা রেখে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। আজ সকালে বিজেপি নেতা এই ঘটনা দেখে ময়ুরেশ্বর থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে বোমা উদ্ধার করে। বিজেপি নেতার অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ঘটনার পিছনে রয়েছে। যদিও তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
রাত পোহালেই ভোট। তার আগে রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদের ডোমকল। সিপিএমের অভিযোগ, গতকাল রাতে ডুবাপাড়ায় দলীয় কর্মীদের ওপর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে। অভিযোগ, সংঘর্ষের সময় বোমাবাজিও হয়। আহত ৩ সিপিএম কর্মীকে ডোমকল হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যদিও তৃণমূলের তরফে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
ভোটের ঠিক মুখে চিত্পুর এলাকা থেকে ১৫টি তাজা বোমা উদ্ধার করল পুলিশ। দিলারজং রোডে একটি পাঁচিলের আড়ালে প্লাস্টিকের বস্তায় রাখা ছিল ১৫টি তাজা বোমা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল রাতে পুলিশ সেগুলি উদ্ধার করে
প্রেক্ষাপট
অষ্টম অর্থাৎ শেষ দফায় চারটে জেলার ৩৫টা আসনে ভোট। এর মধ্যে রয়েছে কলকাতার ৭টা, মালদার ৬টা, মুর্শিদাবাদের ১১টা এবং বীরভূমের ১১টা আসন।
এবার দেখে নেওয়া যাক, ২০১৬-র বিধানসভা ভোট এবং ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের বিধানসভাভিত্তিক ফলের নিরিখে কে কোথায় দাঁড়িয়ে---
২০১৬-র বিধানসভা ভোটে এই ৩৫টা আসনের মধ্যে ১৭টা আসনে জিতেছিল তৃণমূল। ১৭টা আসনে জিতেছিল বাম-কংগ্রেস জোট। বিজেপি জিতেছিল ১টা আসনে।
২০১৯-এর লোকসভা ভোটের বিধানসভাভিত্তিক ফলের নিরিখে এই ৩৫টা আসনের মধ্যে ১৯টায় এগিয়ে ছিল তৃণমূল। ১১টায় এগিয়ে ছিল বিজেপি। কংগ্রেস এগিয়ে ছিল ৫টা আসনে।
এবার জেলাওয়াড়ি ছবিটা দেখে নেওয়া যাক। অর্থাৎ ২০১৬-র বিধানসভা ভোট এবং ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের বিধানসভাভিত্তিক ফলের নিরিখে কোন জেলায় কে কোথায় দাঁড়িয়ে---
অষ্টম দফায় কলকাতার ৭টা আসনে ভোট।
এই ৭টা আসনই উত্তর কলকাতায়। ২০১৬-র বিধানসভা ভোটে এই ৭টা আসনের মধ্যে সবক’টি জিতেছিল তৃণমূল। বাম-কংগ্রেস জোট কিংবা বিজেপি একটিও আসন পায়নি।
২০১৯-এর লোকসভা ভোটের বিধানসভাভিত্তিক ফলের নিরিখে এই সাতটা আসনের মধ্যে ৫টায় এগিয়ে ছিল তৃণমূল। ২টো আসনে এগিয়ে ছিল বিজেপি।
শেষ দফায় মালদার ৬টা আসনে ভোট রয়েছে।
২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে এই ৬টা আসনের মধ্যে ৫টা আসনে জিতেছিল বাম-কংগ্রেস জোট। একটা আসনে জিতেছিল বিজেপি।
২০১৯-এর লোকসভা ভোটের বিধানসভাভিত্তিক ফলের নিরিখে মালদার এই ছ’টা আসনের মধ্যে ৪টেতেই এগিয়ে ছিল বিজেপি, ২টো আসনে এগিয়ে ছিল কংগ্রেস।
মুর্শিদাবাদের ১১টা আসনে ভোট শেষ দফায়।
২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে এই ১১টা আসনের মধ্যে ১০টায় জিতেছিল বাম-কংগ্রেস জোট। ১টা আসনে জিতেছিল তৃণমূল। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের বিধানসভাভিত্তিক ফলের নিরিখে এই ১১টা আসনের মধ্যে ৮টা আসনে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। ৩টে আসনে এগিয়ে ছিল কংগ্রেস।
শেষ দফায় বীরভূমের ১১টা আসনে ভোট।
২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে এই ১১টা আসনের মধ্যে ৯টা আসনে জিতেছিল তৃণমূল। ২টো আসনে জিতেছিল বাম-কংগ্রেস জোট। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের বিধানসভাভিত্তিক ফলের নিরিখে বীরভূমের এই ১১টা আসনের মধ্যে ৬টায় এগিয়ে ছিল তৃণমূল। ৫টা আসনে এগিয়ে ছিল বিজেপি।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -