দক্ষিণ ২৪ পরগনা:  আজ দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা, গোসাবা এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন ও মেদিনীপুর শহরে সভা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


পাথরপ্রতিমার সভা থেকে তিনি চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপিকে। এমনকী, ঘুরিয়ে কংগ্রেস ও সিপএমকে বিজেপির 'বি-টিম' হিসেবেও উল্লেখ করেন। 


তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘পিএম কেয়ার্সের নামে টাকা তুললেও কেউ টাকা পায়নি। সিপিএম, কংগ্রেস মানেই বিজেপি।’


মমতা বলেন, ‘যে সংখ্যালঘু বলছে সে বিজেপির থেকে প্রচুর টাকা নিয়েছে। কেউ টাকা দিলে বলবেন এতো আমার ট্যাক্সের টাকা। বলবেন, খরচের টাকা দাও, খরচা করে দেব।’


গতকাল কাঁথির সভা থেকে বহিরাগত ইস্যুতে মমতার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বলেছিলেন, বলেন, ‘রবি ঠাকুর, বঙ্গিমের বাংলায় বহিরাগতদের কথা বলছেন মমতা। আমরা সবাই এই ভারতভূমির সন্তান। এই ভারতে কেউ বহিরাগত নয়। এখানে কোনও ভারতবাসী বহিরাগত নয়।’


এদিন তার জবাবে মমতা বলেন, ‘এই নির্বাচন দিল্লির নয় বাংলায়। বাংলায় যে উত্তরপ্রদেশের লোকেরা থাকে, তাঁদের বহিরাগত বলি না। বিজেপিকে বাইরে থেকে গুন্ডা আনাচ্ছে।’


তৃণমূলনেত্রীর গলায় এদিন ফের শোনা যায় খেলা হবে প্রসঙ্গ। বলেন, ‘আমার তো একটা পায়ে চোট। মা-বোনেরা দুটো পা দিয়ে আমাকে এগিয়ে দেবে। ভাঙা পায়েই যা খেলব না, বিজেপিকে বোল্ড আউট করে দেব। অন্যায় করলে থাপ্পড় দেবেন।’


দুর্নীতি ও সিন্ডিকেট নিয়ে গতকাল রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেছিলেন মোদি। বলেন, ‘বাংলায় দিদি আপনাদের কোনও হিসেব দিচ্ছেন না। কেউ হিসেব চাইলেই গালি দিচ্ছেন দিদি। আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের জবাব দিতে পারেননি দিদি। ভাইপো উইন্ডোয় কাটমানির টাকা ঢুকে গেছে। বাংলা জানতে চায়, গরিবদের চাল কে লুঠ করেছে।’


এর জবাবে তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘দুর্গত মানুষের সাহার্যার্থ্যে কার্পণ্য করেনি তৃণমূল। আমফানের পরে ১০০০ কোটি টাকা দিয়েছে বিজেপি। এটা কার টাকা? মাছের তেলে মাছ ভাজা। এক টাকাও দেয়নি। তিনি যোগ করেন, ‘এত বড় দুর্যোগে একটা-দুটো ভুল তো হতেই পারে। আমফানের পর রাজ্য ৭০০০ কোটি টাকা দিয়েছে। ২১ লক্ষ বাড়ি তৈরির জন্য ২০০০ কোটি টাকা দিয়েছে রাজ্য।’


মমতা বলেন, ‘এবার পড়ুয়াদের জন্য ১০ লক্ষ টাকার ক্রেডিট কার্ড। পড়াশোনার খরচের জন্য ক্রেডিট কার্ড থেকেই খরচা করবে। বিদেশে পড়াশানো করে বাংলায় ফিরে আসবে পড়ুয়ারা। তিনি যোগ করেন, ‘তৃণমূল ক্ষমতায় এলে ক্ষুদ্র শিল্পে আরও ১ কোটি ৩২ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। বছরে দুবার করে চারমাস দুয়ারে সরকার হবে।’