কলকাতা: শীতলকুচির জোড় পাটকিতে গুলি চালনার ঘটনায় এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দিকেই আঙুল তুললেন তৃণমূল নেত্রী।রাখঢাক না করে শাহকেই এই ঘটনার চক্রান্তকারী বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বিধানসভা ভোটের হিংসার উদাহরণ দিতে গিয়ে তুলে আনলেন পঞায়েত নির্বাচনের প্রসঙ্গ।


এদিন নির্বাচনী সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ''আজকে একটা দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। ভোটের লাইনে দাঁড়ানো পাঁচজনকে গুলি করে মেরেছে দিল্লির পুলিশ। আমার ৫টা ভাইকে মেরে দিয়ে বলছে, গ্রামবাসীরা নাকি বন্দুক কাড়তে এসেছিল। লজ্জা করে না, গলায় দড়ি দিয়ে মরা উচিত বিজেপি তোমার।অমিত শাহ তোমার পদত্যাগ করা উচিত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়ে তুমি এই ঘটনার চক্রান্তকারী।''


এই বলেই থেমে থাকেননি তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, ''আমি অনেকদিন ধরে বলছি, সিআরপিএফ অত্যাচার করছে। আমি সিআরপিএফ-এর বিরুদ্ধে নই। কিন্তু বিএসএফ, সিআইএসএফ অত্যাচার করছে।গ্রামে গ্রামে মেয়েদের ওপর অসম্মান,অত্যাচার হচ্ছে।ছেলেমেয়েদের ভয় দেখানো হচ্ছে।বলছে, বিজেপিকে ভোট দাও। আমার পঞ্চায়েত ভোটেও এত লোক মারা যায়নি। যা আজকের ভোটে হয়েছে।একদিনে ২০ জন মারা গিয়েছে। যাদের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসেরই ১৩জন রয়েছেন। যারা গুলি করে লোক মারে তাদের ভোট দেবেন ? ওরা ভোট পাবে না বলেই ভয় দেখাচ্ছে, গুলি চালাচ্ছে।''  কাল কোচবিহারে যাওয়ার কথা তৃণমূল নেত্রীর।


এদিন সকালে শীতলকুচির পাগলাপীরে বুথের বাইরে ভোটের লাইনে গুলি চলার ঘটনা ঘটে। যাতে ১৮ বছরের যুবক আনন্দ বর্মনের মৃত্যু হয়। পরে শীতলকুচিরই ১২৬ নম্বর বুথে  ফের গুলি চলার খবর পাওয়া যায়। যাতে চারজনের গুলি লেগে মৃত্যু হয়।নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী আত্মরক্ষার্থে গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছিল।   অন্যদিকে, তৃণমূলের দাবি, বিনা প্ররোচনায় কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালিয়েছে। 


পরবর্তীকালে গোটা ঘটনার বিস্তারিত অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিএপিএফ বাহিনী গুলি চালিয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। কেন এই
পরিস্থিতির সৃষ্টি হল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।বুধবারই এই শীতলকুচিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কনভয়ে হামলা হয়। যা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদে নামে বিজেপি।