চুঁচুড়া: রাজ্য চতুর্থ দফার ভোটের দিন সকাল থেকেই সরগরম পরিস্থিতি। মারধর, গুলি, মৃত্যু, ছাপ্পা ভোটের অভিযোগে পরিস্থিতি উত্তপ্ত। এরই মধ্যে এবার বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের গাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ছাপ্পা ভোটে বাধা দেওয়াতেই আক্রান্ত হয়েছেন বলে দাবি লকেটের।


লকেটের অভিযোগ, ‘৬৬ নম্বর বুথে সংখ্যালঘুরা ছাপ্পা ভোট দিচ্ছিল। একজন মহিলা ইভিএম-এর সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। সন্দেহ হতেই আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করি, আপনি কি এখানকার ভোটার? উনি বলেন, ওঁর কাছে কার্ড রয়েছে। উনি সেই কার্ড দেখান। দেখতে পাই, তিনি কোভিড ম্যানেজমেন্ট টিমের সদস্য। নির্বাচনের নিয়ম অনুসারে কোভিড ম্যানেজমেন্টের টিম বলে ইভিএম-এর পাশে কাউকে রাখা হয়নি। তাকে ধরে যখন ক্যামেরার সামনে মুখ দেখিয়েছি, সে তখন আমাকে ধরে মারতে থাকে। ১০০ মিটারের মধ্যে যারা ছিল, তারা সবাই একত্রিত হয়ে আমাদের দিকে ইট-পাটকেল মারতে থাকে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদেরও তাড়া করে। গাড়ি থেকে নেমে তাদের পিটিয়েছে। কোনওদিন ভাবিনি, একজন জাল, চোর-ডাকাতের জন্য, তার হয়ে চুরি করবে একজন মহিলা। নিজেদের সর্বনাশ করছে।’


লকেটের অভিযোগ, ‘নিজেদের তো অসুরক্ষিত মনে করবই। এই বাংলায় কীভাবে একজন মহিলা, একজন এমপি-র গাড়ি ভাঙছে এরা। এরা কী করছে! তাহলে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা এদের কাছে! আমার সামনেই পুলিশ ছিল কিন্তু কিছু করেনি।’


ইতিমধ্যেই ওই অঞ্চলে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য আবেদন করেছেন লকেট। তিনি নির্বাচন কমিশনে তাঁর উপর এই হামলার বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। চুঁচুড়ার বিজেপি প্রার্থীর দাবি, তাঁর হাতে আঘাত লেগেছে। ভেঙে গিয়েছে গাড়ির কাচ।


এদিকে এই ঘটনা নিয়ে লকেটের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছে তৃণমূল। রাজ্যের শাসক দলের কর্মী-সমর্থকদের দাবি, ওই অঞ্চলের মানুষজনকে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য প্রভাবিত করছিলেন লকেট। তাই তাঁর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন মানুষ। যদিও লকেটের দাবি সম্পূর্ণ আলাদা। সবমিলিয়ে চতুর্থ দফার ভোটের দিন পরিস্থিতি উত্তপ্ত।