কলকাতা: রাত পোহালেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে তৃণমূল। শুধুমাত্র নন্দীগ্রাম আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রে খবর, এবারের প্রার্থী তালিকায় বড়সড় চমক থাকতে পারে।


 


ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গেছে।কিন্তু এখনও প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেনি কোনও দল। ‘পয়া’ শুক্রবারে প্রার্থী ঘোষণা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


 


২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও শুক্রবারই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। তৃণমূল ২১১টি আসন জিতেছিল সেবার। এবার কী হবে? তা বোঝা যাবে ২ মে! তবে এবারের হাইভোল্টেজ ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকাতে বড়সড় চমক থাকতে পারে বলে খবর।


 


তৃণমূল সূত্রে খবর, চেষ্টা চলছে রাজ্যের সদ্য প্রাক্তন মুখ্যসচিব রাজীব সিন্হাকে ব্যারাকপুর থেকে ৷ এবং রাজারহাট থেকে হিডকোর চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচনী অধিকারিক দেবাশিস সেনকে দাঁড় করানোর। যদিও, দেবাশিস সেন প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছেন। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়ার জন্য ফোন করা হলে, উত্তর মেলেনি রাজীব সিনহার।


 


তবে, তৃণমূল সূত্রে দাবি, এখনও শেষ মুহুর্তের আলোচনা চলছে। এদিকে তৃণমূল সূত্রে খবর, ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে আর দাঁড়াচ্ছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি, শুধুমাত্র নন্দীগ্রাম আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জায়গায় ভবানীপুর কেন্দ্রের সম্ভাব্য প্রার্থী হতে পারেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বা চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সদ্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন একঝাঁক অভিনেতা-অভিনেত্রী ও খেলোয়াড়। প্রার্থী তালিকায় তাঁদের একাংশেরও নাম থাকবে বলে খবর।


 


তৃণমূল সূত্রে খবর, প্রার্থী করা হতে পারেন অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক, সিরিয়ালে ‘বাহা’ চরিত্রের জন্য খ্যাত অভিনেত্রী রনিতা দাসকে। ফের তৃণমূল প্রার্থী হতে পারেন অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী ৷


এছাড়াও ভোটের মুখে তৃণমূলে যোগদানকারী পরিচালক রাজ চক্রবর্তী , ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি, নারী ও শিশু সুরক্ষা কমিশনের চোরপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী, প্রাক্তন ফুটবলার সৌমিক দে, বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল খাঁ, অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ এবং সদ্য পুলিশের চাকরি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রাক্তন আইপিএস অফিসার হুমায়ুন কবীরের নাম থাকতে পারে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায়।


 


বৃহস্পতিবার তৃণমূলে যোগ দেন গায়িকা অদিতি মুন্সি। অদিতিকে অর্জুন সিংয়ের ডেরা নোয়াপাড়া থেকে প্রার্থী করা হতে পারে সূত্রে খবর। এছাড়াও তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় একাধিক প্রাক্তন মন্ত্রীর নাম থাকতে পারে।


 


নিজের পুরনো কেন্দ্র শ্যামপুকুর থেকে লড়তে পারেন শশী পাঁজা। এছাড়াও  দমদম থেকে ব্রাত্য বসু, বিধাননগর আসনে লড়তে পারেন সুজিত বসু।


 


টালিগঞ্জে প্রার্থী হতে পারেন অরূপ বিশ্বাস আর বেহালা পশ্চিম থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়।


 


পাশের কেন্দ্র বেহালা পূর্ব থেকে লড়তে পারেন বিজেপিতে যোগদানকারী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় অথবা বিদায়ী কাউন্সিলর তারক সিংহ।


 


কলকাতা বন্দরেই প্রার্থী হতে পারেন ফিরহাদ হাকিম। হাওড়া মধ্য অরূপ রায়, হাবড়া জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বালিগঞ্জ সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বরানগর তাপস রায় প্রার্থী হতে পারেন।


 


খড়দায় অমিত মিত্রকে ফের প্রার্থী করতে পারে তৃণমূল। এছাড়াও পানিহাটি থেকে ফের প্রার্থী করা হতে পারে মদন মিত্রকে। এছাড়া রাসবিহারীতে বিদ্যুৎ‍মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের জায়গায় প্রার্থী করা হতে পারে দেবাশিস কুমারকে। কাশীপুর-বেলগাছিয়ায় অতীন ঘোষ, দমদম উত্তরে নির্বেদ রায় বা চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য লড়াই করতে পারেন।বালি থেকে তৃণমূল প্রার্থী হতে পারেন দেবাংশু ভট্টাচার্য।


 


কাঁথি দক্ষিণ থেকে প্রার্থী হতে পারে অধিকারী পরিবারের বিরোধী গোষ্ঠীর বলে পরিচিত অখিল গিরির ছেলে সুপ্রকাশ গিরিকে। তৃণমূল সূত্রে খবর, চুড়ান্ত তালিকা তৈরিতে তিনটি বিষয় গুরুত্ব পাচ্ছে। তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের টিমের দেওয়া তালিকা। দলের দেওয়া প্রার্থীদের তালিকা। এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজস্ব পর্যবেক্ষণ।