হিন্দোল দে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভাঙড়ে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট। এই অভিযোগ তুলে এবং প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনের  দ্বারস্থ হল তৃণমূল। শুধু তাই নয় পুলিশের কাছেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এদিন জেলার যুব তৃণমূল সভাপতি তথা ক্যানিং পূর্বর বিধায়ক শওকত মোল্লা অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও তাঁর এই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের ঘাড়েই দোষ চাপিয়েছে আইএসএফ।


এ মাসেই শুরু বিধানসভা দখলের মহারণ। তুঙ্গে মিটিং-মিছিল-প্রচার। জেলায় জেলায় ঘটছে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা। বাদ নেই দক্ষিণ ২৪ পরগনাও। বাম-কংগ্রেসের ব্রিগেডের সভার দিন ভাঙড়ে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট বা আইএফএস-এর সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় তৃণমূলের। পাশাপাশি, বুধবার জীবনতলা থেকে এক ব্যক্তিকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তৃণমূলের অভিযোগ, ধৃত ব্যক্তি আইএফএস-এর প্রতিষ্ঠাতা আব্বাস সিদ্দিকির অনুগামী। এই প্রেক্ষিতে প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের দ্বারস্থ হন দক্ষিণ ২৪ পরগনার যুব তৃণমূল সভাপতি তথা ক্যানিং পূর্বর বিধায়ক শওকত মোল্লা।


ক্যানিং পূর্ব জেলার যুব তৃণমূল সভাপতি শওকত মোল্লা বলেন, ‘‘আব্বাস সিদ্দিকির লোক ধরা পড়ছে ৷ আজিজুল মোল্লা ধরা পড়ল ৷ আমি আশঙ্কিত, প্রাণহানির আশঙ্কা করছি ! শান্তিপূর্ণ আবহে ভাঙড়ে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা হচ্ছে ।’’ সব অভিযোগ অস্বীকার করে আইএসফের দাবি, এলাকায় অশান্তি পাকাচ্ছে তৃণমূলই। দক্ষিণ ২৪ পরগনার আইএফএস পর্যবেক্ষক আব্দুল মালেক মোল্লা জানান, ‘‘শওকত মোল্লার অভিযোগ ভিত্তিহীন। ওরাই পুলেশের সাহায্যে অস্ত্র রেখে দিচ্ছে। প্রশাসন নিরপেক্ষ কাজ করুক ৷ আমাদেরকেই মিটিং মিছিল করতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ তৃণমূল শাসাচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে ৷’’


এবিষয়ে বারুইপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। একটি ভাইরাল ছবির ভিত্তিতে আজিজুল মোল্লা নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র। তবে তাঁর কোনও রাজনৈতিক যোগ আছে কি না তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার আদালতে তোলা হবে ধৃতকে। বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফায় আগামী ১০ এপ্রিল ভোট ভাঙড়ে।