আশাবুল হোসেন, কলকাতা: ভোটের মুখে উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনের অপসারণের দাবি জানাল তৃণমূল। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে দেওয়া চিঠিতে সুদীপ জৈনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ করা হয়েছে। যা নিয়ে বিজেপির কটাক্ষ, কমিশনের উপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা হলেও লাভ হবে না।


 


তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় জানান, ‘‘দলের পক্ষ থেকে উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনের অপসারণের দাবি করা হয়েছে ৷’’  এ ব্যাপারে গত লোকসভা নির্বাচনের সময় বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনার উল্লেখ করেছেন সৌগত।


অন্যদিকে রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি অর্জুন সিংহ বলেন, ‘‘সেই সময় রাজ্য সরকার তদন্ত কমিশন বসিয়েছিল, সেই রিপোর্ট কেন এল না ৷’’


 


রবিবার ব্রিগেডে আসছেন নরেন্দ্র মোদি ৷ তার তিনদিন আগে নির্বাচন কমিশনের উপর চাপ বাড়াল তৃণমূল ৷ বিধানসভা ভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা উপ নির্বাচন কমিশনার তথা রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক সুদীপ জৈনকে অপসারণের দাবিতে সরব হল তৃণমূল। সুদীপ জৈনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগে বৃহস্পিতবার রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠিও দিয়েছে শাসক দল।


গত লোকসভা ভোটের সময় অমিত শাহের রোড শো ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে যায় কলকাতায়। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনায় তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। সেই প্রসঙ্গে টেনে সিইওকে দেওয়া চিঠিতে রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেকে ও ব্রায়েন অভিযোগ করেন, বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা নিয়ে পক্ষপাতমূলক রিপোর্ট দেন সুদীপ জৈন। লোকসভা ভোটের সময় ক্যুইক রেসপন্স টিমের নেতৃত্বে একজন সিআরপিএফ আধিকারিককে রাখার ব্যবস্থা চালু করেন। যা ভারতীয় সংবিধানের ৩২৪ নম্বর ধারার বিরোধী।


সিইওকে লেখা চিঠিতে ডেরেক অভিযোগ করেন, সুদীপ জৈনের পদক্ষেপ বুঝিয়ে দেয় তিনি বিজেপির প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছেন। তাঁর প্রতি দলের কোনও আস্থা নেই। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘‘এর আগেও ২০১৯-এ ওর পক্ষপাতমূলক আচরণ দেখতে পেয়েছি, বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা হয়েছিল, তখন সুদীপ জৈন ভুল এবং পক্ষপাতমূলক রিপোর্ট পাঠান, জৈনকে রেখে কোনও অবাধ নির্বাচন হবে বলে তৃণমূল মনে করে না।’’


 


বিজেপির অভিযোগ, রাজনৈতিক লড়াইয়ে না পেরে কমিশনকে আক্রমণের রাস্তা নিয়েছে তৃণমূল। রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি অর্জুন সিংহ বলেন, ‘‘কমিশনকে ধমক চমক দেওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল, চাপ তৈরি করে সুদীপ জৈনের অপসারণের দাবি জানানো হচ্ছে, নাটক করার চেষ্টা, ইসির গাইডলাইনের বাইরে কেউ যায় না ৷’’


 


১৯৯৪-র তামিলনাড়ু ব্যাচারে আইএএস ক্যাডার সুদীপ জৈন ৷ ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার পদ গত ডিসেম্বরে তাঁর মেয়াদ শেষ হলেও এক বছর মেয়াদ বাড়ানো হয় সুদীপ জৈনের।