সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: বনগাঁর মতুয়া ঠাকুরবাড়িকে রাজনীতি-মুক্ত করার ডাক। আসন্ন বিধানসভা ভোটে মতুয়া প্রভাবিত কেন্দ্রগুলিতে ভোটে লড়াই করার ঘোষণা করল গুরুচাঁদ মুক্তি মোর্চা। যদিও, তাদের এই সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল এবং বিজেপি।
ভোট এলেই সবার নজর যায় মতুয়া সম্প্রদায়ের দিকে। এবারের বিধানসভা ভোটেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। ঠাকুরনগরে মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে হরিচাঁদ-গুরুচাঁদের মন্দিরে শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন অমিত শাহ! ২৫ ফেব্রুয়ারি, ঠাকুরনগরে মতুয়া বাড়িতে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বাগদার হেলঞ্চায় গুরুচাঁদ ঠাকুরের মূর্তি উদ্বোধন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! মতুয়া ঠাকুর বাড়ির সদস্য শান্তনু ঠাকুর এখন বিজেপির সাংসদ! পরিবারের আরেক সদস্য মমতাবালা ঠাকুর তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ! অর্থাৎ মতুয়া বাড়ির অন্দরে এখন পুরোদস্তুর ঢুকে গেছে রাজনীতি। এই পরিস্থিতিতে মতুয়া ঠাকুরবাড়িকে রাজনীতি মুক্ত করার ডাক দিয়ে মতুয়া প্রভাবিত আসনে ভোটে লড়ার ঘোষণা করল গুরুচাঁদ মুক্তি মোর্চা!
২০১১ সালে তৈরি হয় গুরুচাঁদ মুক্তি মোর্চা। ২০১৫-র উপনির্বাচনে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তারা। সেই ভোটে, বনগাঁ কেন্দ্রে জয়ী হন, তৃণমূলের মমতাবালা ঠাকুর। এবার বিধানসভা ভোটেও লড়ার ঘোষণা করল গুরুচাঁদ মুক্তি মোর্চা। যদিও, তাঁদের গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল ও বিজেপি। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক প্রবীরকুমার রায় বলেন, ‘‘মতুয়া ভোট আমাদের সঙ্গেই থাকবে, যে যাই করুক, কিছু হবে না।’’
উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল কংগ্রেস কোঅর্ডিনেটর গোপাল শেঠ জানান, ‘‘আমরা ১০ বছর ধরে মতুয়াদের পাশ আছি, মতুয়া ভোট আমাদের সঙ্গে থাকবে।’’
বাংলায় ২৯৪ আসনের মধ্যে অন্তত ৭৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে মতুয়া ভোটাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। আসন্ন বিধানসভা ভোটে এই গুরুচাঁদ মুক্তি মোর্চা, গোজ প্রার্থী হিসেবে ভোট কেটে, কী কারও সুবিধা করবে? সেদিকেই নজর রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।