সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: ভোটে খরচের জন্য ৫০ হাজার টাকা দাবি। না দেওয়ায় ঠিকাদারকে ফোনে হুমকির অভিযোগ তৃণমূল পরিচালিত নদিয়ার চাকদার একটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করে পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই তোলাবাজি-হুমকির অভিযোগ তোলা হয়েছে।
তোলা দিতে অস্বীকার করায় মেরে ঠিকাদারের হাত পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি! এই অভিযোগের ঘটনায় কাঠগড়ায় নদিয়ার চাকদার তৃণমূল নেতা। যদিও এই অডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। চাকদার বাসিন্দা, এই ঠিকাদারের অভিযোগ, ভোটের প্রচারের জন্য, তাঁর কাছে কিছুদিন ধরেই তোলা চাইছিলেন তৃণমূল পরিচালিত তাতলা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। সম্প্রতি ৫০ হাজার টাকা চাওয়া হয়। ঠিকাদার দিতে অস্বীকার করায় হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
অভিোগকারী ঠিকাদার অশোক বণিক জানান, ‘‘সম্প্রতি তার কাছে পঞ্চাশ হাজার টাকা চান তাতলা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পার্থ প্রতিম দে। তিনি দিতে অস্বীকার করলে তাকে ফোনে প্রাণনাশের হুমকি সহ হাড়গোড় ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেন বলে অভিযোগ।’’
চাকদা থানায় প্রধানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ঠিকাদার। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল প্রধান। উল্টে বিজেপির ঘাড়ে দোষ ঠেলেছেন তিনি। তাতলা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা ও প্রধান পার্থপ্রতিম দে বলেন, ‘‘যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে প্রধান জানান, যিনি অভিযোগ করছেন তিনি প্রথমত কন্টাকটার নন। দ্বিতীয়ত তিনি বিজেপি করেন। নির্বাচনের আগে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করা হচ্ছে। তার কাছ থেকে কোন টাকা চাওয়া হয়নি।’’
আগামী ১৭ এপ্রিল পঞ্চম দফায় চাকদা বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট। তার আগে এই ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনের প্রচারে বিজেপি তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোলাবাজি ও কাটমানির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে। দলের নেতারা এই ইস্যুতে তৃণমূলকে নিশানা করছেন। এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা বিজেপিকে আক্রমণ করছে তৃণমূল।