নয়াদিল্লি: করোনা অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে যেদিন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সেদিন একটু বিদেশের করোনা পরিস্থিতির দিকে নজর দেওয়া যাক। ইতালিকে মনে আছে? করোনার ধাক্কায় এক সময় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল পাওলো মালদিনি-দেল পিয়েরোদের দেশ। এবার ফের ইতালির দরজায় কড়া নাড়ছে অতিমারির অভিশাপ। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ।
চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে বারবার সতর্ক করছেন। তারই মধ্যে ইতালির ছবি কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়াতে পারে। ইতালিতে করোনা সংক্রমণ নতুন করে এমনই বেড়ে গিয়েছে যে, ফের লকডাউনের পথে হাঁটতে চলেছে ইতালি। ইতিমধ্যেই সে দেশের বেশ কিছু অঞ্চলকে বিধিনিষেধের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বেশ কিছু অঞ্চলকে রেড জোন বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়ার ফলে ইতালিতে আবারও বেশ কিছু এলাকাকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার থেকে ১০টি অঞ্চলকে রেড জোনের আওতায় আনা হয়েছে। সেই অঞ্চলগুলো হল ত্রেন্তো, লম্বার্দিয়া, এমিলিয়া রোমনা, পিওমন্তে, ভেনেতো, ফ্রিউলি ভেনিজিয়া জুলিয়া, লাজিও, মার্কে, পুলিয়া, কাম্পানিয়া এবং মোলিস। এর মধ্যে কাম্পানিয়া ও মোলিস আগেও রেড জোনেই ছিল। এই দুই এলাকায় আবারও প্রচুর করোনা আক্রন্তের খবর প্রকাশ্যে এসেছে।
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় চলাফেরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুধুমাত্র জরুরি কাজে বা চিকিৎসার জন্য এক জায়গা থেকে অন্যত্র যাওয়া চলবে। তবে সেক্ষেত্রে সার্টিফিকেট নিতে হবে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। সর্বসাধারণের জন্য সমস্ত শো, প্রদর্শনী এবং জাদুঘর বন্ধ থাকবে। শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো দূরত্ববিধি বজায় রেখে চলবে। এমনকী, বাড়িতে থাকলেও মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যাতে বাড়ির সদস্যরা একে অপরের থেকে সংক্রমিত না হয়ে পড়েন।
গত দু’মাসে ইতালিতে নতুন করে করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে গিয়েছে। হাসপাতালের বেড কার্যত ভর্তি। যার ফলে নতুন করে সে দেশের কয়েকটি অঞ্চলকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
১৫ মার্চ থেকে লকডাউনের নতুন এই নিয়ম কার্যকর হয়েছে ইতালিতে। দেশের স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে পর্যবেক্ষণ করে দেখা গিয়েছে, গত ১ মার্চ থেকে ৭ মার্চ এই এক সপ্তাহে প্রত্যেক এক লক্ষ অধিবাসীর মধ্যে ২২৫৬৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। তাই সতর্কতার মোড়কে নিজেদের মুড়ে ফেলতে চাইছে ইতালি।