সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: করোনার মধ্যেই ভোটে ব্যবহার করা হয়েছে বেসরকারি সমস্ত বাস। বাস বা বেসরকারি যানবাহনে ভোটকর্মী থেকে ভিনরাজ্যের কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা চলাফেরা করেছেন। ভোট পার হয়ে গেলে বাসগুলি ফেরত দিলেও কোনও বাস বা বেসরকারি যানবাহন স্যানিটাইজ করে দেয়নি জেলা নির্বাচন দফতর। এমনটাই অভিযোগ ৷ ফলে ওই অবস্থাতেই বাস ও বেসরকারি যানবাহনগুলি চলাচল করছে সাধারণ যাত্রীদের নিয়ে। এই অতিমারিতে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা। যে সমস্ত বেসরকারি বাস ভোটের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলি স্যানিটাইজ করার দাবি তুলেছেন বাস মালিকদের সংগঠন উত্তর দিনাজপুর বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। প্রশাসনের তরফে রায়গঞ্জ পুরসভা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এ ধরনের কোনও প্রস্তাব আসেনি, আসলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
করোনা আবহের মধ্যেই হয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার বিধানসভার ভোট। ভোটের জন্য উত্তর দিনাজপুর জেলার সমস্ত বেসরকারি বাস ও অন্যান্য যানবাহনগুলি ব্যবহার করা হচ্ছিল। সেই বাসগুলিতে করে বিভিন্ন বুথে ভোটকর্মী ও ভিনরাজ্য থেকে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীদের পাঠানো হয়েছে। ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার পর বাসগুলো ফেরত দিয়ে দিলেও বাসগুলো স্যানিটাইজিং-এর ব্যবস্থা করেনি প্রশাসন। স্যানিটাইজিং ছাড়াই বাসগুলিতে বর্তমানে যাত্রীরা চলাচল করছেন। ফলে অতিমারি করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বেসরকারি বাস মালিকদের সংগঠন উত্তর দিনাজপুর বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক প্লাবন প্রামাণিক জানিয়েছেন, অবিলম্বে প্রশাসনের কাছে আমরা দাবি রাখছি সরকারিভাবে ভোটের জন্য নেওয়া বেসরকারি বাস ও অন্যান্য যানবাহনগুলি স্যানিটাইজিং করে দেওয়ার জন্য। কেননা আমরা নিজেরা বাসগুলো মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার সময় স্যানিটাইজিং করতে পারছি না। যেহেতু তা অনেকটা সময় এবং ব্যয় সাপেক্ষ। রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, বাস মালিকেরা আমাদের কাছে এখনও পর্যন্ত এধরণের প্রস্তাব পাঠায়নি। প্রস্তাব এলে আমরা স্যানিটাইজিং করার উদ্যোগ নেব।
এদিকে দেশে যখন করোনা সংক্রমণ বাঁধভাঙা গতিতে এগোচ্ছে, তখন তার পাশাপাশি চরমে পৌঁছেছে ভ্যাকসিন-সঙ্কট। কলকাতার পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, মালদা, পূর্ব বর্ধমান-সহ একাধিক জেলায় ভ্যাকসিন পেতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ৪৫ ঊর্ধ্বরা।
কোথাও দেওয়া হচ্ছে না ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ, কোথাও দ্বিতীয় ডোজটুকুও মিলছে না। ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রতিটি লাইনেই উপচে পড়া ভিড়, শিকেয় দূরত্ব বিধি। এই নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ অনেক জায়গাতেই।