পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: ভোটমুখী বঙ্গে মনোনয়ন সংক্রান্ত নির্দেশিকার পোস্টার নিয়ে কাঠগড়ায় বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন। সাদা কাগজে নীল রঙে লেখা হয় পোস্টার। বিতর্কের মুখে তড়িঘড়ি বদলে দেওয়া হল রঙ। রাজনৈতিক স্বার্থেই নীল-সাদা রঙ ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। মানতে নারাজ রাজ্যের শাসক দল।


ছিল নীল সাদা। হয়ে গেল হলুদ কালো। বঙ্গে আট দফায় নির্বাচনের দিন ঘোষণা হতেই আটঘাট বেঁধে নেমে পড়েছে শাসক বিরোধী সব দল। এরই মধ্যে মনোনয়ন সংক্রান্ত নির্দেশিকা নিয়ে কাঠগড়ায় বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন। সোমবার বিকেলে মনোনয়ন সংক্রান্ত বেশ কিছু নির্দেশিকা লেখা পোস্টার লাগানো হয় মহকুমা শাসকের অফিসের বাইরে। দেখা যায়, সাদা কাগজের ওপর নীল কালিতে লেখা হয়েছে পোস্টার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর বিভিন্ন সরকারি অফিস থেকে পার্ক, সেতু নীল সাদা রঙে রাঙানো হয়েছে ৷ এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদের অভিযোগ, রাজনৈতিক স্বার্থেই ভোটের নির্দেশিকায় নীল-সাদা রঙ ব্যবহার করা হয়েছে। 


এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হতেই নীল সাদা পোস্টার খুলে ফেলা হয়। এবার হলুদ কাগজে কালো রঙে লেখা পোস্টার সাঁটানো হয় দেওয়ালে। বিতর্কের মুখে জেলা প্রশাসনের দাবি কমিশনের নির্দেশেই পোস্টার লাগানো হয়েছিল। বাঁকুড়ার জেলা শাসক কে রাধিকা আইয়ার জানান, ‘‘নির্বাচন কমিশনের নির্দেশেই এই কাজ করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের ইনফ্রাসট্রাকচার সেল এই কাজ করে ৷’’


পোস্টারের রং বিতর্কে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে বিজেপি। রাঢ় বঙ্গের বিজেপি আহ্বায়ক পার্থসারথি কুণ্ডু জানান, ‘‘বেশ কিছু সরকারি আধিকারিকও শাসকদলের দ্বারা প্ররোচিত। প্রশাসনের আমলা নীল সাদা রঙকে কিছুতেই ভুলতে পারছেন না। নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত পোস্টারের রঙ বদল করতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন।’’


বাঁকুড়ার তৃণমূল নেতা দিলীপ আগরওয়াল বলেন, ‘‘নীল সাদা কোনও দলের রঙ নয়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সরকারি ভবনগুলি নীল সাদা রঙ করা হয়েছিল। আজ বিজেপি নীল সাদা রঙকেও ভয় পাচ্ছে।’’ নির্বাচন কমিশনের নির্ঘণ্ট অনুযায়ী, প্রথম দফায় অর্থাৎ ২৭ মার্চ ভোট রয়েছে বাঁকুড়ার ৪ আসনে। বাকি ৮ আসনে ভোট হবে ১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায়।