আশাবুল হোসেন, কলকাতা: বিধানসভা ভোটে অশীতিপর কাউকেই আর টিকিট দেওয়া হবে না। আজ কালীঘাটে তৃণমূলের নির্বাচন কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ২৯৪ আসনের খসড়া প্রার্থী তালিকা তৃণমূল নেত্রীর কাছে জমা দিয়েছে দলের নির্বাচন কমিটি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করবেন। এই নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।


 


আশি পেরোলে এবার আর তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় জায়গা মিলবে না। তালিকা চূড়ান্ত করার আগে এমনই সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল। পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা বলেছি, ৮০ বছর হয়ে গেছে, তাদের আর দরকার নেই ৷’’


 


তৃণমূল নেতৃত্ব এই নীতিতে টিকিট বণ্টন করলে হাওড়ার ব্রজমোহন মজুমদার, জটু লাহিড়ি কিংবা সিঙ্গুরের চারবারের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের মতো অনেকেই এবার টিকিট পাবেন না। তৃণমূল সূত্রে খবর, ২৯৪ আসনের খসড়া প্রার্থী তালিকা ইতিমধ্যে তৈরি হয়ে গেছে। প্রার্থী চূড়ান্ত করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছে। সোমবার থেকেই শুরু হয়ে গেল ভোটের মাস। এ মাসের ২৭ তারিখ থেকেই শুরু হয়ে যাবে বিধানসভা ভোট। প্রথম দফার ভোটের জন্য মনোনয়ন জমার শেষ তারিখ ৯ মার্চ। অর্থাৎ হাতে রয়েছে আট দিন। এই প্রেক্ষাপটে সোমবার থেকেই তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া পুরোদমে শুরু হয়ে গেল। সোমবার কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে প্রার্থী তালিকা নিয়ে বৈঠকে বসেন তৃণমূলের নির্বাচন কমিটির ১২ জন সদস্য। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘‘এবার আমরা যেমন অনুভব করেছি, সেই অনুযায়ী প্রার্থী ঘোষণা হবে। মমতাই প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করবেন, শীঘ্রই আসবে প্রার্থী তালিকা ৷’’


 


বিজেপি অবশ্য প্রার্থী তালিকা নিয়ে তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করেছে। বঙ্গ বিজেপির সাংসদ ও যুব মোর্চা সভাপতি সৌমিত্র খাঁ জানান, ‘‘যেদিন তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হবে, দেখবেন পার্টিটা শেষ হয়ে যাবে, কারণ, যারা টিকিট পাবেন না, তারা তো আর তৃণমূলের হয়ে কাজ করবে না ৷’’


 


২৭ মার্চ, প্রথম দফায়, জঙ্গলমহলের ৪ জেলার ২৩ আসন এবং পূর্ব মেদিনীপুরের ৭টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের বিধানসভাভিত্তিক ফল অনুযায়ী, জঙ্গলমহলের ৪ জেলার ৪০টি আসনের মধ্যে ৩০টিতেই এগিয়ে ছিল বিজেপি। তৃণমূল এগিয়ে ছিল ১০টি আসনে। এবার বিধানসভা ভোটে কী হয়, সেদিকে তাকিয়ে সকলে। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্য তৃণমূল স্পোর্টস সেলের চেয়ারম্যান করা হয়। তিনি কি বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হবেন? তা নিয়েও চলছে জল্পনা।