লাভপুর,বীরভূম: ভোটের দিন সকালে লাভপুর বিধানসভার হাতিয়া-হাজরাপাড়া গ্রামে বোমা উদ্ধার। একজনকে আটক করেছে পুলিশ। বিজেপি সমর্থকদের দাবি, গতকাল, বুধবার রাতে বোমা খোঁজার অছিলায় পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে গ্রামে চড়াও হয় তৃণমূল কর্মীরা। বিজেপি সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালানোর পাশাপাশি তৃণমূল কর্মীরা ভোট না দেওয়ার হুমকি দিয়ে যায় বলে অভিযোগ। যদিও এদিন সকালে ভোট দেন গ্রামবাসীরা।



লাভপুর বিধানসভার পূর্ণ গ্রামে ১৩২ নম্বর বুথে এদিন তৃণমূল-বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। তৃণমূলের অভিযোগ, বহিরাগতদের নিয়ে জমায়েত করে বিজেপি। তৃণমূল কর্মীরা প্রতিবাদ করায় সংঘর্ষ বাধে। ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে কেন্দ্রীয় বাহিনী।


এদিকে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায় পরপর বাড়ি ভাঙচুর। পরস্পরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল ও কংগ্রেস। খবর পেয়ে এলাকায় যান তৃণমূল প্রার্থী নিয়ামত শেখ ও সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী মীর আলমগির পলাশ।


আজ, বৃহস্পতিবার অষ্টম অর্থাৎ শেষ দফায় চারটে জেলার ৩৫টা আসনে ভোট। এর মধ্যে রয়েছে কলকাতার ৭টা, মালদার ৬টা, মুর্শিদাবাদের ১১টা এবং বীরভূমের ১১টা আসন। ২৮৩ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন প্রায় ৮৫ লক্ষ ভোটার। 


মালদার ৬টা আসন হল, মানিকচক, মালদা, ইংরেজবাজার, মোথাবাড়ি, সুজাপুর ও বৈষ্ণবনগর।


মুর্শিদাবাদের ১১টা আসন হল, খড়গ্রাম, বড়ঞা, কান্দি, ভরতপুর, রেজিনগর, বেলডাঙা, বহরমপুর, হরিহরপাড়া, নওদা, ডোমকল ও জলঙ্গি। 


বীরভূমের ১১টা আসন হল, সিউড়ি, সাঁইথিয়া, দুবরাজপুর, বোলপুর, নানুর, লাভপুর, রামপুরহাট, ময়ূরেশ্বর, মুরারই, নলহাটি ও হাসন। 


কলকাতার যে ৭টা আসনে ভোট হচ্ছে, সেগুলো হল, চৌরঙ্গি, এন্টালি, বেলেঘাটা, জোড়াসাঁকো, মানিকতলা, কাশীপুর, বেলগাছিয়া ও শ্যামপুকুর। 


কমিশন সূত্রে খবক, শেষ দফার ভোটপর্ব তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকছেন ২৪ জন জেনারেল পর্যবেক্ষক, ৯ জন ব্যয় সংক্রান্ত বিষয়ক পর্যবেক্ষক এবং ৯জন পুলিশ পর্যবেক্ষক।


অন্যান্য পর্বের মতো এবারও থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশের কড়া নিরাপত্তা।  শেষ দফার ভোটের জন্য মোট ৬০ হাজার ২৪০ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। তার মধ্যে বুথে থাকবে ৫১ হাজার ২৮০ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। 


চার জেলার মধ্যে বীরভূমের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী বরাদ্দ হয়েছে সবচেয়ে বেশি, ১৭ হাজার ৯২০  জন। তারপরেই রয়েছে মুর্শিদাবাদ। এই জেলায় ভোট নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন ১৬ হাজার ৯৬০ জন জওয়ান। 


মালদায় মোতায়েন থাকবেন ৮ হাজার ৮০০ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। আর কলকাতার ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট নিরাপত্তার দায়িত্বে ৭ হাজার ৬০০ জওয়ান।