সমীরণ পাল, বনগাঁ: ভোটের আগে জনতার দরবারে রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা। ভোট ঘোষণা হতেই তাঁরা পৌঁছে যাচ্ছেন মানুষের কাছে। বাড়ির দোরগোড়ায় গিয়ে জনসংযোগ সারছেন নেতা-নেত্রীরা। কিন্তু এই জনসংযোগের মাঝেই নাকি, বাসিন্দাদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। বিজেপির বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলল তৃণমূল। ইতিমধ্যে এই নিয়ে কমিশনে নালিশও জানানো হয়েছে।
১৭ এপ্রিল উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রে ভোট। এই কেন্দ্রে এখনও প্রার্থী দেয়নি বিজেপি। কিন্তু, এলাকায় প্রচার শুরু করে দিয়েছেন বিজেপি নেতারা। তৃণমূলের অভিযোগ, বাড়ি বাড়ি প্রচারে গিয়ে ব্যক্তিগত তথ্য জানতে চাইছেন বিজেপি নেতারা। সম্প্রতি বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা বিজেপি নেতা দীপেন্দু বিকাশ বৈরাগী বাড়ি বাড়ি যান জনসংযোগ করতে। আর সেখানে গিয়ে বাসিন্দাদের ব্যক্তিগত তথ্য চান বলে অভিযোগ। তৃণমূলের অভিযোগ মৌখিকভাবে তথ্য সংগ্রহ নয়। রীতিমতো ফর্ম ফিলাপ করানো হচ্ছে বলে দাবি তৃণমূলের। উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল কংগ্রেসের কোঅর্ডিনেটর গোপাল শেঠ বলেন, ‘‘তথ্য জানতে চাইছেন প্রার্থী। এতে ভয় পাচ্ছে সাধারণ মানুষ। রীতিমতো আতঙ্কিত তাঁরা। পাশাপাশি বিজেপি ইভিএমের প্রোগ্রামিং পরিবর্তন করার চেষ্টা করছে।’’
নির্বাচন কমিশনে এ নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল। যদিও, বিষয়টি পাত্তা দিতে নারাজ গেরুয়া শিবির। তৃণমূলের এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। বনগাঁর বিজেপি নেতা দীপেন্দু বৈরাগী বলেন, ‘‘এটি একটি দলীয় কর্মসূচি তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি নেই তাই এমন অভিযোগ তুলছে ৷’’ বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল বলেন, ‘‘গণতান্ত্রিক অধিকার সবার আছে। আমরা এই কার্ড নিয়ে মানুষের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি তাঁদের মতামত জানতে চাইছি ৷’’ বনগাঁ উত্তরে বিজেপির প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের শ্যামল রায়। এই কেন্দ্র সংযুক্ত মোর্চার সমর্থনে সিপিএম প্রার্থী করেছে পীযুষকান্তি সাহাকে।