অলোক সাঁতরা, পশ্চিম মেদিনীপুর: মিঠুন চক্রবর্তীর রোড শোয়ের পরেই উত্তপ্ত কেশপুর। রাতে উত্তর ধলহারা এলাকায় তৃণমূল পার্টি অফিস ভাঙচুর। বাধা দেওয়ায় তৃণমূল কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। 


আহত ৩ তৃণমূল কর্মী। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। 


তৃণমূলের অভিযোগ, মিঠুন চক্রবর্তীর রোড শো থেকে ফেরার পথে তাদের পার্টি অফিসে হামলা চালায় বিজেপি কর্মীরা। রাতে ঘটনাস্থলে যায় কেশপুর থানার পুলিশ। 


কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্ত্বেও কী করে এমন ঘটল, প্রশ্ন তুলে দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন কেশপুরের তৃণমূল প্রার্থী শিউলি সাহা। বিজেপির প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। 


রবিবার দোলের দিন চার-চারটি রোড শো করেন মিঠুন।  রবিবার দুপুরে প্রথমে বাঁকুড়ার ইন্দাস থেকে শুরু হয় তাঁর কর্মসূচি। এখানে বিজেপি প্রার্থী নির্মল ধাড়ার সমর্থনে পথে নামেন তিনি।  বলেন, প্রথম দফার ভোট দেখে বোঝা যাচ্ছে সরকার বদলাচ্ছে। 


২ কিলোমিটার রোড শোয়ে অংশ নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের উদ্দেশে উড়ে যায় তাঁর হেলিকপ্টার। আকাশে চক্কর কাটছে হেলিকপ্টার। কিন্তু কখন কাছে আসবেন অভিনেতা, তারই অপেক্ষায় অগুনতি মানুষ।


২০১০ সালে শেষবার কেশপুরে এসেছিলেন মিঠুন। তখন প্রচার করেছিলেন তৃণমূলের হয়ে। দশ বছর পর আবারও কেশপুরে। তবে এবার তিনি গেরুয়া শিবিরে।


দলবদল করলেও, তারকার প্রতি জনতার আকর্ষণ যে এতটুকুও টলেনি, তার প্রমাণ ছিল তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি কেশপুরে এদিন মিঠুনের রোড শো। সেখানে মিঠুন বলেন, প্রচুর মানুষ, বিজেপির জয় নিশ্চিত, বিজেপিকে কেউ রুখতে পারবে না। 


কেশপুর ছেড়ে ডেবরা। এখানেও মিঠুনকে দেখতে জনজোয়ার। ভিড় ঠেলে মঞ্চে উঠেই চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ শুরু করেন মহাগুরু। তিনি বলেন, কোনও পরিবর্তন হয়নি, আগে ভোট দিলে ভয় দেখাত, এখনও তাই হচ্ছে, কিন্তু এবার আর হবে না, এবার সোনার বাংলা হবে। 


ভারতী ঘোষের সমর্থনে বক্তব্য রাখতে উঠে সম্ভাবনাময় বাংলার কথাও শোনান মিঠুন। বলেন, ৯০ দিনে কাজ হবে, শিল্পপতিদের এখন প্রতি স্কোয়ার ফুটে ৩০ টাকা দিতে হয়, আমরা শিল্পপতিদের ট্যাক্স হলিডে দেব, বদলে বাংলার ছেলেদের চাকরি দিতে বলব।


এদিন চন্দ্রকোণার রামজীবনপুরেও বিজেপি প্রার্থী শিবরাম দাসের সমর্থনে ২ কিলোমিটার রোড শো করেন মিঠুন চক্রবর্তী।