গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম: বন দফতরের বিরুদ্ধে না জানিয়ে গাছ কাটার অভিযোগ। বীরভূমের পাড়ুইয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতার নেতৃত্বে বন দফতরের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখালেন মহিলারা। ঘটনাটি ঘিরে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপির তরজা।
আবার শিরোনামে সাত্তোর! তবে এবার রাজনৈতিক খুন-সন্ত্রাস নয়! গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে তুলকালাম বাধল বীরভূমের পাড়ুইয়ের বহু চর্চিত সাত্তোরে!
সাত্তোরের মনোহরপুর গ্রামে, কোপাই নদীর তীরে বন দফতরের লাগানো গাছ অবৈধ ভাবে কেটে নেওয়ার অভিযোগে ঝামেলার সূত্রপাত। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ১৫ বছর ধরে গাছগুলির পরিচর্যা করেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। অভিযোগ, তাঁদের না জানিয়েই বন দফতর গাছ কাটছে!
এদিন গ্রামে বন দফতরের গাড়ি ঢুকতেই, তা আটকে দেন মহিলারা। বন আধিকারিক ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন। অভিযোগকারী ও স্বনির্ভরগোষ্ঠীর সদস্য দীপালি মুর্মু জানান, ‘‘এই সমস্ত গাছ অবাধে কেটে নেওয়া হচ্ছে, আমাদের না জানিয়ে, বাধা দিতে গেলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে ৷’’ 
যথারীতি ভোটের মুখে গাছের গায়ে রাজনীতির রং লেগেছে! বীরভূমের বিজেপি সহ-সভাপতি বলাই চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই এলাকার তৃণমূলের দুষ্কৃতী রবি দাস তার সঙ্গে বনদফতরের সঙ্গে চক্রান্ত করে গাছগুলো কেটে দিচ্ছে । বর্তমানে সরকারের এটাই তো কাজ, সমস্ত কিছু লুটপাট,গাছ কেটে নিয়ে যাওয়া ৷’’
অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা অবশ্য দাবি করছেন, কী হচ্ছে, কেন হচ্ছে, সে বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না! পাড়ুইয়ের অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা রবি দাস জানান, ‘‘এই যে গাছ কাটা হচ্ছে এটা মিটিং করে হয়েছে । সমস্ত মহিলারাই বিষয়টি জানে । সরকার গাছ কাটবে না কি করবে সেই বিষয়ে আমি কি করে জানব । আমার বিষয় যে অভিযোগ করা হচ্ছে ভিত্তিহীন অভিযোগ । এর সঙ্গে আমি কোনও ভাবে জড়িত নই ৷’’
সংশ্লিষ্ট বন আধিকারিকও এতে অনিয়মের কিছু দেখছেন না! বোলপুর বন দফতরের আধিকারিক প্রবাস হালদার জানান, ‘‘আমরা এলাকার যে গ্রুপ রয়েছে তাদের অনুমতি নিয়েই গাছগুলোকে কাটছি । অনেকজনের স্বাক্ষর আছে , সঠিক নিয়ম মেনেই এই গাছ কাটা হচ্ছে ।’’
ইতিমধ্যেই প্রচুর গাছ কাটা পড়েছে। এদিনের বিক্ষোভের পর অবশ্য গাছ কাটার প্রক্রিয়া স্থগিত রাখে বন দফতর।