গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম: তৃণমূল নেতার মেয়ের বিয়েতে গেলেই নেওয়া হবে ব্যবস্থা। অভিযোগ, বিজেপি নেতার ফতোয়ার জেরে বীরভূমের দুবরাজপুরে শাসক নেতার বাড়িতে অনুষ্ঠান এড়ান অধিকাংশ আমন্ত্রিত। হুমকির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। বিজেপির দাবি, কে কার বাড়িতে যাবেন তাতে দলের কোনও হাত নেই।
রাজনৈতিক বিরোধীদের ধোপা, নাপিত বলে একঘরে করে দেওয়ার ফতোয়া বাংলায় নতুন নয়। বাম আমলে কিংবা তৃণমূল জমানায় এ ধরনের অভিযোগ ভুরি ভুরি উঠেছে। কিন্তু, বিরোধী থাকাকালীনই এবার বিজেপির বিরুদ্ধে এমন ভয়ঙ্কর ফতোয়া জারির অভিযোগ উঠল।
তৃণমূল নেতার মেয়ের বিয়েতে গেলে একঘরে করে দেওয়ার ফতোয়া। অভিযোগ, বিজেপির শাসানির জেরে দুবরাজপুরের পদুমায় তৃণমূল নেতা নিরঞ্জন ঘোষের মেয়ের বিয়েতে যাননি অর্ধেকের বেশি আমন্ত্রিত। সোমবার ছিল বিয়ে। তার আগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিজেপি নেতারা হুমকি দেন বলে অভিযোগ। পাত্রীর বাবা তথা দুবরাজপুরের তৃণমূল নেতা নিরঞ্জন ঘোষ জানান, ‘‘গ্রামের সবাইকে নেমন্তন্ন করি। কিন্তু স্থানীয় বিজেপি নেতারা গ্রামবাসীদের হুমকি দেয় বলে, যদি বিয়ে বাড়িতে তোমরা যাও তাহলে জমির জল বন্ধ করে দেব। ট্রাক্টর বন্ধ করে দেব। অনেক গ্রামবাসী আসেননি ৷’’
প্রতিবেশী সুভা ঘোষ জানান, ‘‘আমাকে বিয়ের আগের দিন এসে হুমকি দিয়ে গেছে বিজেপি নেতারা। বলেছে নিরঞ্জনের বাড়িতে গেলে তোমাদের খুব খারাপ হবে মিথ্যা কেস দেওয়া হবে তবুও আমরা বিয়েতে যাই ৷’’ এই ঘটনায় তৃণমূল নেতার পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করেছে সিপিএম।
স্থানীয় সূত্রে দাবি, লোকসভা ভোটের পর থেকে মামা-ভাগ্নে পাহাড়ের শহরে দাপট বাড়তে শুরু করেছে বিজেপির। যদিও, ফতোয়া জারির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। দুবরাজপুরের বিজেপি নেতা প্রভাত ঘোষের মতে, ‘‘নিরঞ্জন গ্রামের সবাইকে নেমন্তন্ন করেনি। ওর বাড়িতে সবাই যেতে পছন্দ করেন না, তাই যাননি। কে গেল না গেল তাতে আমাদের কী করা আছে, বিজেপির পক্ষ থেকে কাউকে হুমকি দেওয়া হয়নি ৷’’ উল্লেখ্য, ২৯ এপ্রিল শেষ দফার ভোট। ওইদিনই বীরভূমের ১১টি আসনে নির্বাচন।