সোমনাথ মিত্র, তারকেশ্বর: ভোটের মুখে তারকেশ্বরে বিজেপির বুথ সভাপতির বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। অভিযোগ অস্বীকার করে গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই দায়ী করেছে শাসকদল।
বীরভূমের নানুর হোক বা দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি, ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই রাজ্যজুড়ে বাড়ছে রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা। এবার হুগলির তারকেশ্বরে বিজেপির বুথ সভাপতির বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বাড়ির দেওয়ালে বোমার দাগ স্পষ্ট। এদিক-ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে বোমার সুতলি।
তারকেশ্বরের নাইটা মালপাহাড় পঞ্চায়েত এলাকার ১৩৩ নম্বর বুথের বিজেপি সভাপতি অষ্ট কুইনের দাবি, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বাড়িতে বসে টিভি দেখছিলেন তিনি। তখনই তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি শুরু হয়। আতঙ্কে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন এই বিজেপি নেতা অষ্ট কুইন।
এ বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, ‘বোমার আওয়াজ শুনে বাইরে বেরিয়ে আসি। দেখতে পাই, মোটর সাইকেলে চড়ে কয়েকজন পালিয়ে যাচ্ছে। সেই সময় আরও একটা বোমা ফাটে। আমি বিজেপি করি। হয়তো তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই হামলা চালিয়েছে।’
ভোটের মুখে বোমাবাজির এই ঘটনায় তৃণমূলকেই দায়ী করেছে বিজেপি। তারকেশ্বর ৩ বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বিরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ‘ভোটের আগেই তৃণমূল অনেক পিছিয়ে গেছে। গরিব মানুষ বিজেপিকে সমর্থন করছে। তাই তৃণমূল আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। সেই আতঙ্ক থেকে এই বোমাবাজি করা হচ্ছে।’
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের বিধানসভাভিত্তিক ফলের নিরিখে তারকেশ্বর কেন্দ্রে ৪ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। এই প্রেক্ষাপটে বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের পাল্টা দাবি, বোমাবাজির ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্তর্দ্বন্দ্ব। মঙ্গলবার যেখানে বোমাবাজি হয়, গত ৬ মার্চ সেই অঞ্চল থেকে কিলোমিটার দুয়েক দূরে তারকেশ্বরের দরবেশপুরের একটি বাঁশবাগান থেকে ৩৬টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছিল। পরে বম্ব স্কোয়াড এসে বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বোমাবাজি এই অঞ্চলে।