ডোমজুড় : নির্বাচন কমিশনে তাঁর নামে নালিশ এবং সেই ঘটনায় শো-কজ হওয়া নিয়ে এবার গর্জে উঠলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের চতুর্থ দফার ভোটের আগে ডোমজুড়ের জনসভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমোর হুঁঙ্কার, 'আমাকে দশটা শো-কজ করলেও কিছু যায় আসে না। উত্তর একই হবে।' পাশাপাশি সভামঞ্চ থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা নরেন্দ্র মোদিকে ও নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকেও নিশানা করেছেন।


আক্রমণাত্মক মেজাজে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভামঞ্চ থেকে বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে কমপ্লেন করে কোনও লাভ নেই। নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে কটা কমপ্লেন হয়েছে, তিনি যে রোজ হিন্দু-মুসলমান করেন, কটা কমপ্লেন হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে যারা নন্দীগ্রামের মুসলিমদের পাকিস্তানি বলেছিলেন, লজ্জা করে না, গলায় দড়ি দিয়ে মরা উচিত ওদের।' যার পরই আগের বক্তব্যের রেশ টেনে তিনি জোড়েন, 'আমাকে দশটা শো-কজ করলেও কিছু যায় আসে না। উত্তর একই হবে। আমি সবাইকে বলছি, কোনও ভাগাভাগি হবে না, ঐক্যবদ্ধভাবে সবাই ভোট দিন। হিন্দু-মুসলমান-শিখ-ক্রিস্চান সবাইকে, কেউ ওদের ভোট দেবেন না।'


নন্দীগ্রামে সংঘ্য়ালঘু ভোটারদের উদ্দেশ্য়ে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বিশেষ রকমের বার্তা দিয়েছেন অভিযোগ করে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হযেছিল বিজেপি। যে ঘটনা নিয়ে পরে কমিশনের পক্ষ থেকে শো-কজ করা হয় তৃণমূল সুপ্রিমোকে। যে ঘটনা নিয়ে বলতে গিয়েই বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


ডোমজুড়ের সভার আগে শ্রীরামপুরের জনসভাতেও নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের বিরুদ্ধে চড়া সুরে আক্রমণ শানান। শ্রীরামপুরের নির্বাচনী জনসভা করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিজেপি দেশকে ভুলিয়ে দিচ্ছে। নরেন্দ্র মোদি নিজের নামে স্টেডিয়াম করছে। অমিত শাহ সারাক্ষণ কীভাবে দাঙ্গা, গুণ্ডামি করা যায় তাই ভাবে। তৃণমূলকে ভোট দিয়ে বিজেপিকে ব্যালট বক্স থেকে খালি করে দেবেন।’ তিনি স্লোগান তোলেন, ‘বিজেপি হঠাও’। ডোমজুড়ে জনসভা থেকেও আক্রমণের যে রেশ বজায় ছিল তাঁর। পাশাপাশি টাকা বিলির অভিযোগও ফের একবার তোলেন তিনি।