কমলকৃষ্ণ দে, জামালপুর: ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে দলের একটা বড় অংশের ভোট বিজেপিতে চলে যাওয়ায় রাজ্যে তাঁদের ভোট ব্যাঙ্ক তলানিতে ঠেকেছিল। এমনকি বেশ কয়েকটা লোকসভা আসনে সিপিএম প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্তও হয়েছিল। এবার সেই ভোট নিজেদের দিকে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে জামালপুরের সভা থেকে পুরনো কর্মী-সমর্থকদের ফেরত আসতে সরাসরি আবেদন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের। তিনি পুরানো কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘যাঁরা এখানে নেই অথচ বিজেপি বা তৃণমূলের ঝাণ্ডা ধরেছেন, তাঁদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, কেন এসব করছেন? এখন অনেকে বলছেন, তৃণমূলের হয়ে বিজেপিকে হঠাব। আবার কেউ বলছেন, বিজেপি-র হয়ে তৃণমূলকে সরাব।’


পাশাপাশি দলের পুরনো কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক আরও বলেন, ‘আপনি কখনও তৃণমূল হয়ে বিজেপি-কে তাক করে আছেন, আবার কখনও বিজেপি হয়ে তৃণমূলকে তাক করে আছেন। আপনি তৃণমূলের কোনও নেতাকে তাক করে বিজেপি বিজেপি করছেন। দেখবেন সে সুড়সুড় করে বিজেপি হয়ে আপনার দিকে তাক করে আছে।’


ধর্ম-নিরপেক্ষ জোটই যে বিকল্প শক্তি, তা বারবার সভামঞ্চ থেকে তুলে ধরেন সূর্যকান্ত। পাশাপাশি তিনি দলীয় কর্মীদের বলেন, ‘পাড়ায়-পাড়ায়, বাড়ি-বাড়ি গিয়ে মানুষের সাথে মনের সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। যাঁরা তৃণমূল-বিজেপি করছে, তাদের বাড়িতে যান। ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্টা করতে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে হবে।’


বিধানসভা ভোটের আগে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন স্লোগান, ‘বাংলা নিজের মেয়েকে চায়’-কে কটাক্ষ করে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বলেন, ‘তিনি পিসি। ভাইপোর পিসি। আপনাদের সবার পিসি বলতে পারব না।’


পাশাপাশি কয়লা ও গরু পাচার নিয়ে সরব হন সূর্যকান্ত। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আসানসোল ও ঝাড়খন্ড থেকে পাচার হয়ে কয়লা ইটভাটায় যায়। যে আগে কয়লা পাচার করত, সে এখন ইটভাটার মালিক হয়ে গেছে। এখন ইটভাটার পয়সা থেকে গরু পাচার করছে। সেই টাকার কিছু অংশ হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে ভাইপোর কাছে যায় এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলের কাছে যায়।’