অরিত্রিক ভট্টাচার্য ও মোহন দাস- কোথাও বিজেপির পোলিং এজেন্টকে মারধর, কোথাও আবার বুথে বসতে বাধা। কোথাও বুথ থেকে বের করে দেওয়া হল সিপিএমের এজেন্টকে। শুধু তাই নয়, কোথাও আবার শাসক দলের এজেন্টকেই বুথে বসতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে উঠল অভিযোগ।


প্রথম দফা, দ্বিতীয় দফা ভোটের পর, তৃতীয় দফার ভোটে সেই চেনা ছবি বঙ্গের ভোটে। সব মিলিয়ে তৃতীয় দফার ভোটে, অব্যাহত অশান্তি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি বিধানসভার দক্ষিণ দুর্গাপুর গ্রামে, ১৯৮ নম্বর বুথে, বিজেপি এজেন্টকে বসতে বাধা, হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।


এদিন কুলতলি থানার আইসি নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থীর এজেন্টকে। কিন্তু তা সত্ত্বেও বুথে বসতে রাজি হননি বিজেপি প্রার্থীর এজেন্ট। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বিজেপি প্রার্থী মিন্টু হালদার। কুলতলি বিধানসভার ১৯৮ নম্বর বুথের বিজেপি এজেন্ট অচিন্ত্য সর্দার বলেন, ‘‘আমি বুথে বসব না। ভোট দিয়ে চলে যাব৷’’ কুলতলির বিজেপি প্রার্থী মিন্টু হালদারের অভিযোগ, বুথে বসতে দেওয়া হয়নি ৷ কুলতলির তৃণমূল প্রার্থী গণেশ মণ্ডল বলেন, ‘‘মিথ্যে অভিযোগ।ওদের এজেন্ট দেওয়ার লোক নেই ৷’’


বারুইপুর পূর্বের চক্রবর্তী আবাদ এলাকাতেই ৮৯ ও ৯০ নম্বর বুথে বিজেপির এজেন্টদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এজেন্টরা। সংশ্লিষ্টদের নিয়ে এসে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে বুথে বসান বারুইপুর পূর্বের বিজেপি প্রার্থী চন্দন মণ্ডল।


বিজেপি এজেন্টকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে হুগলিতেও। এদিন হুগলির গোঘাটের বেলডিহার শ্যামবাজার বিবেকানন্দ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিজেপি এজেন্টকে ঢুকতে বাধা, এজেন্ট-সহ তিনজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আহতদের হাসপাতালে যেতেও বাধা দেওয়া হয় বলে দাবি। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। একের পর এক এই ঘটনায় ফের উঠে গেল সেই প্রশ্ন, কবে বাংলায় অবাধ ও সুষ্ট ভোট হবে?