মালদা: মালদার মানিকচকে ভোট-পরবর্তী হিংসা। নুরপুর গ্রামে দুই তৃণমূল কর্মীকে ধারাল অস্ত্রের কোপ। হামলার অভিযোগ উঠল বিজেপি ও সংযুক্ত মোর্চার বিরুদ্ধে।
তৃণমূলের দাবি, গতকাল রাতে তাদের কর্মীদের লক্ষ্য করে কটূক্তি করা হয়। প্রতিবাদ করায় একজোট হয়ে হামলা চালায় বিজেপি ও সংযুক্ত মোর্চার কর্মীরা।
ধারাল অস্ত্রের আঘাতে এক তৃণমূল কর্মী গুরুতর জখম হওয়ায় তাঁকে মালদা মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মানিকচক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল। হামলা-যোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি ও সংযুক্ত মোর্চা।
পাশাপাশি, ভোট হতেই অশান্ত ভাটপাড়া। তৃণমূল নেতাকে গুলি করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের পার্টি অফিসে ঢুকে দুষ্কৃতীদের হামলা। ৩জন বাইকে করে এসে গুলি চালিয়ে চম্পট দেয়।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তৃণমূল নেতাকে আনা হয়েছে কলকাতায়। বিজেপির বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তৃণমূলের।
এদিনই দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, নতুন সরকার আসছে। কাল ফল ঘোষণার পর গুলির আওয়াজ থেমে যাবে। ভোটের ফল ঘোষণার আগের দিন দলের জয় নিয়ে আশাবাদী বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
এদিকে, মালদার বিজেপি প্রার্থীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় এবার বিজেপির মণ্ডল সভাপতিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এনিয়ে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৮।
ধৃত নিতাই মণ্ডল বিজেপির মণ্ডল সভাপতি ও মালদা পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা। ১৮ এপ্রিল ভোটের প্রচার চলাকালীন পুরাতন মালদার সাহাপুর এলাকায় বিজেপি প্রার্থী গোপালচন্দ্র সাহাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।
এই ঘটনায় বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধানের ভাইপো-সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে গতকাল রাতে বিজেপির মণ্ডল সভাপতিকে গ্রেফতার করা হয়। এনিয়ে গেরুয়া শিবিরের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
গত বৃহস্পতিবার অষ্টম তথা শেষ দফায় ভোটগ্রহণ হয় মালদায়। বৈষ্ণবনগরের সাহাবান চক এলাকায় বিজেপি কর্মীকে কাঁচি দিয়ে আঘাতের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
সকালে ভোট চলাকালীন লাইনে দাঁড়িয়ে তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে বিজেপি কর্মীর বচসা শুরু হয়। তার জেরে তৃণমূল কর্মী রফিকুল শেখ বিজেপি কর্মী সুকুমার সাহাকে কাঁচি দিয়ে আঘাত করে বলে অভিযোগ। আহত বিজেপি কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।