কলকাতা: ‘পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য ১০ বছর ধরে কিছু করেনি রাজ্য সরকার। ১৯ ফেব্রুয়ারি পার্শ্বশিক্ষকদের নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল। কলেজ স্ট্রিট থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত হবে পদযাত্রা,’ সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। 


তৃণমূলকে আক্রমণ করে শমীক আরও বলেন, ‘এই সরকার নিয়োগে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে মেধাতালিকা অস্বচ্ছ। কীসের ভিত্তিতে মেধাতালিকা প্রকাশ, স্পষ্ট করুক সরকার। বহু ছাত্র-ছাত্রী আমাদের দফতরে এসে অভিযোগ করছেন, যাঁরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নন, তাঁরা চাকরি পেয়েছেন বা চাকরি পেতে চলেছেন, কিন্তু প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা চাকরি পাচ্ছেন না। কোন মেধাস্বত্ত্বের ভিত্তিতে সরকার এই তালিকা তৈরি করল, তার সম্পূর্ণ ফল প্রকাশ করতে হবে। পার্শ্বশিক্ষকদের নিয়ে সরকার প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১১ সালের আগে বিভিন্ন ধর্না, অবস্থান মঞ্চে গিয়ে রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বর্তমানে তৃণমূলের বহু মন্ত্রী সেই সময় ধর্না মঞ্চগুলিতে পৌঁছতেন। কখনও মাদ্রাসা শিক্ষকদের ধর্না মঞ্চে, কখনও পার্শ্বশিক্ষকদের ধর্না মঞ্চে গিয়ে তাঁরা বৈঠক করতেন, আশ্বাস দিতেন। কিন্তু সরকারের ১০ বছর চলে যাওয়ার পরেও তাঁদের কোনও সুরাহা করেননি। স্নাতকোত্তর ও স্নাতকদের বেতনের যে ফারাক, সারা ভারতবর্ষে সেটা ২,৭০০ টাকা। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে সেটা ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা। এঁদের দাবি দীর্ঘদিনের। এঁরা বহুবার শিক্ষা দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁরা বিভিন্ন সময়ে আশ্বাস দিয়ে এড়িয়ে যাচ্ছেন। ১৯ তারিখ কলেজ স্ট্রিট থেকে সমস্ত পার্শ্বশিক্ষক, অস্থায়ী শিক্ষক, এমএসকে-দের নিয়ে পদযাত্রা আয়োজন করেছি। এই প্রতিবাদ মিছিল যাবে ধর্মতলা পর্যন্ত। এই সরকারের বিরুদ্দে আমাদের আন্দোলন চলবে।’


শমীক আরও বলেছেন, 'এই সরকার পরিবর্তনের পর ২০২১ সালের অগাস্ট মাসের মধ্যে বিজেপি সরকার সব নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে একটি কমিশন গঠন করবে। এই সরকারই অতীতে তালিকা প্রকাশ করেছে। তাহলে এখন তালিকা প্রকাশ করছে না কেন?'