ঋত্বিক মণ্ডল, কৃষ্ণেন্দু অধিকারী দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও কলকাতা: দেবশ্রী রায়। সফল অভিনেত্রী। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি আসনের দু’বারের তৃণমূল বিধায়ক। রাজনীতিতে আন্ডারডগ হিসেবে নেমেই ২০১১তে জায়ান্ট কিলার! সিপিএমের দাপুটে নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জয়। ২০১৬-তেও একই ফল। ফের বিধায়ক নির্বাচিত হন তিনি।  


 


কিন্তু এবার আর দেবশ্রী রায়কে টিকিট দেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রার্থী তালিকায় একাধিক তারকার নাম থাকলেও, দু’বারের অভিনেত্রী বিধায়ককে  এ’বার রায়দিঘি থেকে টিকিট দেননি তৃণমূলনেত্রী। কিন্তু কেন? এবিষয়ে এতদিন কিছু না বললেও রায়দিঘির ভোটের মুখে শনিবার দেবশ্রী রায়কে প্রার্থী না করা নিয়ে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


 


রায়দিঘিতে ভোটের প্রচার সভায় তৃণমূল নেত্রী বললেন, এই এলাকায় আগে দেবশ্রী রায় আমাদের বিধায়ক ছিল, কিন্তু, মানুষের ক্ষোভ ছিল তাই তাঁকে প্রার্থী করিনি।এক্ষেত্রে মানুষের দাবিকে গুরুত্ব দিয়েছি।


 


এ ব্যাপারে দেবশ্রী বলেছেন, মানুষ নন, তৃণমূলের কর্মীরা চাননি...উনি তো আসেন না, তাই জানেন না। তৃণমূলের কর্মীদের দুর্নীতি প্রশ্রয় দেইনি, তাই আমায় চান না তৃণমূলের কর্মীরা। রায়দিঘির মানুষ আমায় চান। আর আমি তো প্রার্থী না হওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছিলাম। উনি মানুষের কথা না শুনেই এ কথা বলেছেন।


 


তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগেই রায়দিঘি থেকে প্রার্থী হতে চান না বলে জানিয়েছিলেন দেবশ্রী। আর তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর, দল ছাড়ার কথা জানিয়ে দেন তিনি।


 


এই প্রেক্ষাপটে, মঙ্গলবার তৃতীয় দফায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘিতে ভোট।তার আগে, বিজেপি প্রার্থীকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে এখন বিজেপির হয়ে যিনি দাঁড়িয়েছেন, তিনি টিকিট চেয়েছিলেন, তাঁকে আমরা টিকিট দেয়নি। কলকাতায় থাকেন, এখানে আসতে পারবেন না। আমরা দেইনি। তাই বিজেপিতে চলে গেছেন। বিজেপির সবটাই ধার করা, ধার করা লোক নিয়ে বিজেপি ইলেকশন করছে, ম্যাক্সিমাম সিপিএমের হার্মাদ আর তৃণমূলের কিছু লোক নিয়ে যাদের লোভ বেশি।


 


বিভিন্ন সময় দেবশ্রী রায়ের বিরুদ্ধে টোটো কেলেঙ্কারিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। সেই প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূলনেত্রীকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর প্রতিক্রিয়া, ঠিকই তো বিজেপির সাপ্লাই লাইন তৃণমূল ও মমতা নিজেই।


 


দক্ষিণ ২৪ পরগনা তৃণমূলের গড়!২০১৯-এর লোকসভা ভোটে এই জেলার ৩১টি বিধানসভাতেই এগিয়ে ছিল তৃণমূল।তৃতীয় দফা থেকে ভোট শুরু হবে এই জেলায়। তার আগে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা।