ঢাকা: বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রামিতের সংখ্যা ও মৃত্যু। এই অবস্থায় ফের লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ সরকার। ৫ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য প্রাথমিকভাবে লকডাউনের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল সেদেশের সরকার। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে পাওয়া গিয়েছে এই খবর।


গত কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ছয় হাজারের বেশি ছিল। শুক্রবার যা সাত হাজারের গণ্ডি টপকে যায়। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের। তাই পরিস্থিতি বিচার করে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় সংক্রমণের ঢেউ সামলাতে সোমবার থেকে সপ্তাহব্যাপী লকডাউন জারি সিদ্ধান্ত হয়েছে।


সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, লকডাউনের সময়ে সমস্ত অফিস, আদালত বন্ধ থাকলেও কল-কারখানা, মিল রোটেশনের ভিত্তিতে খোলা থাকবে বলেই জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রশাসনিক প্রতিমন্ত্রী ফারহাদ হোসেন। তিনি জানিয়েছেন, 'কল-কারখানা, মিল বন্ধ রাখতে হলে শ্রমিকদের কর্মস্থল ছেড়ে বাড়ি ফিরে যেতে হবে, সেই পরিস্থিতি তৈরি হোক, এমনটা আমরা চাই না।'


গোটা বিশ্বেই ক্রমশ আতঙ্ক বাড়াচ্ছে করোনার দ্বিতীয় টেউ। ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯০ হাজারের কাছাকাছি। চলতি বছরে এই প্রথম একদিনে এতটা সংক্রমণ বেড়েছে। দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও ঊর্ধ্বমুখী। একদিনে ৫০ শতাংশেরও বেশি বাড়ল মৃতের সংখ্যা। সেইসঙ্গে দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা কমেছে। 


ইতিমধ্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ পুরোদমে চললেও যেভাবে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে তাতে চিকিৎসকরা যথেষ্ট চিন্তিত। তারা মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে চলার মতো বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বারবার বলছেন।


মহারাষ্ট্রে পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। গতকাল সে রাজ্যে আক্রান্তর সংখ্যা ছিল ৪৭,৮২৭।  করোনা সংক্রমণ শুরুর পর রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। মৃতের সংখ্যা ২০২। মুম্বইয়ে দৈনিক আক্রান্তর সংখ্যা গতকাল ছিল ৮,৮৪৪। লকডাউনের ইঙ্গিত দিয়ে রেখে ইতিমধ্যে নাইট কার্ফিউ চলছে মহারাষ্ট্রে।


গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯ হাজার ১২৯ জন। গতকাল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮১ হাজার ৪৬৬।