পশ্চিম বর্ধমান: আসানসোল দক্ষিণের সোনাতরী স্কুলের বুথে পুলিশের সঙ্গে বচসা তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষের। পুলিশের বিরুদ্ধে কর্মীদের উপর লাঠিচার্জের অভিযোগ পেয়ে সেখানে যান তৃণমূল প্রার্থী। এনিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয় সায়নীর। আজ কিছু বলছেন না, সব উত্তর মিলবে ২ মে-র পর। পুলিশকে হুঁশিয়ারি তৃণমূল প্রার্থীর।


আসানসোল দক্ষিণের সোনার তরী স্কুলের কাছে ক্যাম্প অফিসের সামনে জমায়েতের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেখানে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। প্রার্থী সায়নী ঘোষ পৌঁছতেই তৃণমূল কর্মীরা অভিযোগ জানান। 


পুলিশ লাঠিচার্জের অভিযোগ অস্বীকার করলেও, সায়নীর সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যায়। কিন্তু এরপর পুলিশকে হুমকি দিয়ে বিতর্কে জড়ান আসানসোল দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী। সায়নীকে বলতে শোনা যায়, আমাদের লোকেদের ওপর লাঠিচার্জ করা হচ্ছে, ডিসটার্ব করছে, কেনা গোলামের মতো আচরণ, পুলিশ অসভ্যতামি করছে।


পুলিশেরও সুর চড়ায়। সেখানে কর্তব্যরত রাজ্য পুলিশের এএসআই নিত্যানন্দ মণ্ডল বলেন, আপনি ক্যান্ডিডেট, এত লোক কেন এখানে? আপনি এনাদের সরান, তারপর কথা বলব। মাই নেম ইজ মণ্ডল, অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর অফ পুলিশ, ঠিক আছে?


যা শোনার পর তৃণমূল প্রার্থী বলেন, 'এখন কিছু বলার নেই, ২ তারিখের পর বলব।'


বিজেপির কটাক্ষ, খোদ মুখ্যমন্ত্রীই যখন বারবার পুলিশকে শাসাচ্ছে, তখন তাঁর দলের প্রার্থী তো উর্দিধারীদের এসব বলবেনই! 


আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, ওনার নেত্রী শাসিয়ে এসেছেন, মুখ্যমন্ত্রী যেমন লোকজনকে থ্রেট করছেন, তেমনই করছে, ২ মে-র পর কার্যকর্তাদের বলা হয়েছে দেখে নেব। 


বুথের ভিতর দলের প্রতীক আঁকা টুপি পরে বসেছিলেন তৃণমূল প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট। ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলে তৃণমূলের পোলিং এজেন্টের টুপি খুলে নিয়ে নির্বাচন কমিশনে নালিশ করার হুঁশিয়ারি দেন বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল। ঘটনাটি জেনে হস্তক্ষেপ করে কমিশন। 


কোভিড আবহে আজ রাজ্যে সপ্তম দফায় ৫ জেলার ৩৪টি আসনে ভোটগ্রহণ।  আজ পশ্চিম বর্ধমানের ৯টি বিধানসভা আসনে ভোট। এগুলি হল, পাণ্ডবেশ্বর, দুর্গাপুর পূর্ব, দুর্গাপুর পশ্চিম, রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া, আসানসোল দক্ষিণ, আসানসোল উত্তর, কুলটি ও বারাবনি।