কলকাতা: বিধানসভা ভোটের মুখে তৃণমূলের ৫ বিদায়ী বিধায়ককে দলে টানল বিজেপি! সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, শিবপুরের জটু লাহিড়ি, সাঁকরাইলের শীতল সর্দারের মতো বর্ষীয়ান রাজনীতিকরা যোগ দিলেন বিজেপিতে। সাতগাছিয়ার বিধায়ক সোনালি গুহ এবং বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাসও পদ্মশিবিরে যোগ দিয়েছেন।


প্রথম দফা ভোটের ঠিক ১৯ দিন আগে প্রার্থী হতে না পেরে, ক্ষোভ উগরে তৃণমূল থেকে পদ্মাসনে বসলেন সিঙ্গুরের ৪ বারের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য।অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে ২০১১-তে রাজ্য-রাজনীতিতে পট-পরিবর্তনের অন্যতম ভিত্তি সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রাম আন্দোলনের অন্যতম দুই মুখ ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ও রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য।  তাঁরা দুজনেই এখন বিজেপিতে।


৮০ বছর বয়স হওয়ায় তৃণমূল রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকে এবার টিকিট দেয়নি। কিন্তু দলের এই যুক্তি মানতে নারাজ সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই। তিনি বলেছেন, এটা অজুহাত। দল তাঁকে বর্জন করেছে।বিজেপিতে যোগ দিয়ে তাঁর কটাক্ষ, এখন আমার বয়স ৮৯। ৮০ তো দশ বছর আগেই পেরিয়ে গিয়েছে। এতদিন পর ওদের বোধদয় হল! আমি শয্যাশায়ী নই, অক্ষমও নই। নিয়মিত দলের কর্মসূচীকে অংশ নিয়েছি।


 


রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেছেন, টিকিট না পাওয়ায় বুঝলাম দল পরিত্যাগ করেছে।  যদি আমার সঙ্গে আলোচনা, পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিত, তাহলে বুঝতাম দল আমাকে গুরুত্ব দিচ্ছে। কিন্তু আচমকাই কিছু না জানিয়েই প্রার্থীতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হল।রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বেচারাম মান্নার বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভ গোপন করেননি। তিনি বলেছেন, বেচারাম ও তাঁর স্ত্রী পাশাপাশি দুটি কেন্দ্রে প্রার্থী। তাঁর প্রশ্ন, তৃণমূল কি পারিবারিক সম্পত্তি?


তৃণমূলে নবীন-প্রবীনের দ্বন্দ্বের কারণেই তিনি বাদ পড়েছেন বলে মানতে নারাজ রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য।  তিনি বলেছেন, তৃণমূলে পুরানোরাই তো রয়েছে।বিজেপি তাঁকে প্রার্থী করবে কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেছেন, এ ব্যাপারে কোনও কথা হয়নি। দলই সিদ্ধান্ত নেবে। তবে বিজেপি তাঁকে প্রার্থী করলে ভোটে লড়তে  প্রস্তুত  বলেও জানিয়েছেন তিনি।