কলকাতা: স্ট্র্যান্ড রোডে পূর্ব রেলের দফতরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শোকপ্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর ট্যুইট, ‘কলকাতায় অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুর ঘটনায় আমি শোকাহত। এই শোকের সময় আমি শোকসন্তস্ত পরিবারগুলির প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আহত ব্যক্তিদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’



পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর দফতরের পক্ষ থেকে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে, ‘কলকাতায় অগ্নিকাণ্ডে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী জাতীয় বিপর্যয় তহবিল থেকে তাঁদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা করে সাহায্য দেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গুরুতর আহত ব্যক্তিদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।’



স্ট্র্যান্ড রোডে পূর্ব রেলের অফিসে প্রায় ১০ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে আগুন। গতকালের ওই আগুনে দু’টি লিফটে আটকে ঝলসে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। এখনও পর্যন্ত ৮ জনকে সনাক্ত করা গিয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন রেলের ডেপুটি চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার পার্থসারথি মণ্ডল, তাঁর নিরাপত্তারক্ষী আরপিএফ কনস্টেবল সঞ্জয় সাহানি, দমকল আধিকারিক গিরিশ দে ও তিন দমকল কর্মী গৌরব বেজ, অনিরুদ্ধ জানা, বিমান পুরকায়েত, হেয়ার স্ট্রিট থানার এএসআই অমিত ভাওয়াল ও রেল কর্মী সারান পান্ডে। একজনকে এখনও সনাক্ত করা যায়নি।


ওই বিল্ডিংয়ের ১৩ তলায় বিপজ্জনকভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তারের কুণ্ডলী। রয়েছে ফলস্ সিলিং, প্লাইউড দিয়ে তৈরি কিউবিকল। প্রাথমিক তদন্তে দমকলের অনুমান, এই কারণেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর দাবি, বিপদের সময় কাজ করেনি অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র। এমনকী অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থাও পর্যাপ্ত ছিল না বলে অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রী রেলের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করলেও, তা খারিজ করে দিয়েছেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার মনোজ জোশী। তবে এই বিল্ডিংয়ের ম্যাপ দিতে না পারার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন রেলের ওই আধিকারিক। 


পূর্ব রেলের অফিসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ। ৩০৪-এর এ অর্থাৎ গাফিলতির কারণে মৃত্যু ও দমকল আইনে মামলা রুজু হয়েছে।