কোচবিহার: গত ১০ এপ্রিল ভোটের দিন দুষ্কৃতীদের গুলিতে কোচবিহারের শীতলকুচিতে নিহত বিজেপি কর্মী আনন্দ বর্মণের পরিবার সরকারি সাহায্য নিতে রাজি।
চতুর্থ দফার ভোটের দিন রক্তে ভিজেছিল কোচবিহারের শীতলকুচির মাটি। দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন বিজেপি কর্মী আনন্দ বর্মণ।
নিহতের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে পরিবারের একজনকে চাকরিও দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
কিন্তু, আনন্দ বর্মণের পরিবারের তরফে বলা হয়েছিল, সরকারি সাহায্য তাঁরা নেবেন না। এরপর, এদিন তৃণমূলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের সঙ্গে দেখা করে নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবার।
তাঁর পাশে বসে নিহত আনন্দ বর্মণের দাদা গোবিন্দ বর্মণ জানান, মুখ্যমন্ত্রী গতকাল যে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছেন, তা তাঁরা নিতে রাজি। সরকারের দেওয়া চাকরির প্রস্তাবও পরিবার নিতে রাজি বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে, রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় ফেলে দেওয়া এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। ডিআইজি সিআইডি স্পেশাল কল্যাণ মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব গঠিত স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট তদন্ত করছে।
এদিন, শীতলকুচি গুলিকাণ্ডে মাথাভাঙা থানার আইসি-কে তলব করা হয়। সোমবার সকাল ১০টায় হাজিরা দেবেন ভবানীভবনে।
এর আগে, আইও-কে গতকালই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি। সেদিন কী ঘটেছিল, কোন প্রেক্ষিতে গুলি চলেছিল, কাদের বয়ান নেওয়া হয়েছিল, এদিন জিজ্ঞাসাবাদে তাই জানতে চাওয়া হয় বলে সিআইডি সূত্রে খবর।
শীতলকুচিকাণ্ডের পরপরই ২টি মামলা করে মাথাভাঙা থানার পুলিশ। খুন, খুনের চেষ্টা, হিংসা ছড়ানো, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক ধারায় মামলা হয়। সেই মামলা দুটিরই তদন্ত করছিলেন, এদিন ভবানী ভবনে হাজিরা দেওয়া পুলিশ অফিসার।
তদন্তকারী অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তাঁর বয়ানও রেকর্ড করা হয়। সিআইডি সূত্রে খবর, আইও-র বক্তব্যের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে আইসি-র বয়ান।
অন্য একটি ঘটনায় এদিন কোচবিহারের দিনহাটায় তৃণমূল কর্মীর ওপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। পুটিমারী ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহেশের হাট এলাকায় গতকাল রাতে এক তৃণমূল কর্মীকে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা মারধর করে বলে অভিযোগ।
আহত ওই তৃণমূল কর্মীকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির পাল্টা দাবি, শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ওই ঘটনা।