মালদা: মালদার মানিকচকের কামালপুর এলাকায় বৃদ্ধা মা করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তাঁকে বাড়িতে ফেলে গেলেন ছেলে ও পরিবারের অন্য সদস্যরা।  


বাড়িতে পড়ে ছিলেন ওই বৃদ্ধা ও তাঁর স্বামী। গত সোমবার বৃদ্ধার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তারপরই এই ঘটনা।  


প্রতিবেশীরাও যোগাযোগ রাখেননি বলে অভিযোগ। গতকাল রাতে বৃদ্ধার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।  আজ স্বাস্থ্য দফতর খবর পেয়ে বৃদ্ধাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন অ্যাম্বুল্যান্স পাঠায়। 


তখনও প্রতিবেশীরা কেউ অ্যাম্বুল্যান্সে তোলার জন্য এগিয়ে আসেননি বলে অভিযোগ। শেষপর্যন্ত মানিকচকের বিএমওএইচ গিয়ে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করেন।


তাঁকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃদ্ধের করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।  


অন্যদিকে, হুগলির চুঁচুড়ায় এক করোনা রোগী বৃদ্ধার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।  ওই মহিলা একাই থাকতেন বাড়িতে। তাঁর ছেলে-বউমা থাকতেন শহরের অন্য প্রান্তে।


জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে ওই বৃদ্ধা করোনায় আক্রান্ত হন।  তাঁর ছেলে-বউমাও করোনা আক্রান্ত।  গতকাল সকাল থেকে তাঁর আত্মীয়রা ফোনে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। 


তাঁরা তখন খবর দেন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায়।  সেই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিরা গিয়ে দেখেন, মহিলা বিছানায় কাতরাচ্ছেন। 


এরপর তাঁকে দরজা ভেঙে উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্‍সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।


এরইমধ্যে রাজ্যে করোনায় মৃত্যুমিছিল অব্যাহত। ফের একবার বাংলায় একদিনে করোনায় মৃত্যু হল একশো জনেরও বেশি!


যা কোনওদিন হয়নি, বৃহস্পতিবার তাই হল। একদিনে রাজ্যে প্রাণ হারালেন ১১৭ জন। 


শুধু এই নয় সংক্রমণও বল্গাহীন হয়ে উঠেছে। রাজ্যে সর্বানাশা রেকর্ড গড়ে বৃহস্পতিবার একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৪৩১ জন।


এর ফলে উদ্বেগ বাড়িয়ে বাংলায় অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা বেড়ে হল ১ লক্ষ ২২ হাজার ৭৭৪। এখনও অবধি রাজ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ১১ হাজার ৯৬৪ জন।


গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তর ২৪ পরগনায় করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৬ জন। কলকাতায় প্রাণ চলে গেছে ৩৩ জনের।