হুগলি: করোনা অতিমারী সারা দেশজুড়েই ত্রাসের সঞ্চার করেছে। ব্যতিক্রম নয় এ রাজ্যও। এরইমধ্যে হুগলির চুঁচুড়ায় এক করোনা রোগী বৃদ্ধার মর্মান্তিক মৃত্যু। ওই মহিলা একাই থাকতেন বাড়িতে। তাঁর ছেলে-বউমা থাকেন শহরের অন্য প্রান্তে। কয়েকদিন আগে ওই বৃদ্ধা করোনা আক্রান্ত হন। তাঁর ছেলে-বউমাও করোনা আক্রান্ত।
গতকাল সকাল থেকে তাঁর আত্মীয়রা ফোনে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। শেষ পর্যন্ত তাঁর ছেলে খবর দেন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায়। সেই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিরা গিয়ে দেখেন, মহিলা বিছানায় কাতরাচ্ছেন। দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। টিভি চলছে। তাঁরা ওই বৃদ্ধার ছেলেকে বাড়ির দরজা বন্ধ বলে জানান।
ছেলের অনুমতি পাওয়ার পর তাঁরা ওই বৃদ্ধাকে দরজা ভেঙে উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দরজা ভাঙার আগেই ওষুধ বা অন্য কিছু নিতে গিয়ে খাট থেকে মেঝেতে পড়ে যান ওই বৃদ্ধা।
ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গা থেকে বেড না পেয়ে বাড়িতেই মৃত্যু, তারপর দেহ সৎকার নিয়ে পরিবারের ভোগান্তির অভিযোগ সামনে এসেছে। এরইমধ্যে চুঁচুড়ার এই মর্মান্তিক ঘটনা সামনে এল।
উল্লেখ্য, রাজ্যে লাগামছাড়াভাবে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। করোনায় মৃত্যুমিছিল অব্যাহত। ফের একবার বাংলায় একদিনে করোনায় মৃত্যু হল একশো জনেরও বেশি।যা কোনওদিন হয়নি, বৃহস্পতিবার তাই হল। একদিনে রাজ্যে প্রাণ হারালেন ১১৭ জন। শুধু এই নয় সংক্রমণও বল্গাহীন হয়ে উঠেছে! রাজ্যে সর্বানাশা রেকর্ড গড়ে বৃহস্পতিবারের একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৪৩১ জন।এর ফলে উদ্বেগ বাড়িয়ে বাংলায় অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা বেড়ে হল ১ লক্ষ ২২ হাজার ৭৭৪।
এখনও অবধি রাজ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ১১ হাজার ৯৬৪ জন। দিনে দিনে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে।রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী,গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তর ২৪ পরগনায় করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৬ জন। কলকাতায় প্রাণ চলে গেছে ৩৩ জনের।