গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম: ভোটের দিন ঘোষণা হতেই কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার গণ্ডি ছাড়িয়ে সুদূর বীরভূমে শোভন চট্টোপাধ্যায়-বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় জুটি। মঙ্গলবার রামপুরহাটে দুপুরে ও বিকেলে, দু-দফায় রোড শো করেন বিজেপির কলকাতা জোনের পর্যবেক্ষক ও তাঁর সতীর্থ। আর সেই কর্মসূচি থেকেই বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে নিশানা করেন তাঁরা। পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন অনুব্রতও।
বিজেপির কলকাতা জোনের পর্যবেক্ষক শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, আদরের কেষ্ট মণ্ডলের অক্সিজেন শেষ হয়ে গিয়েছে। আর ব্যালটও শেষ হয়ে যাবে। ২ মে কোনও ব্যালট থেকে আর কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের সিম্বল বেরোবে না। নেড়ি কুকুরের ল্যাজ যেমন সোজা হয় না, সোজা করে দিলেও বেঁকে যায়, অনুব্রত মণ্ডল-কেষ্ট মণ্ডল জেনে রাখো, সেই নেড়ি কুকুর রাস্তার মোড়ে ছোট্ট একটা ঢিল মারলে যেমন ল্যাজ গুটিয়ে পালায়, আগামী দিন নির্বাচনে, ভারতীয় জনতা পার্টির ব্যালটে ছাপ দিয়ে তোমাকে ল্যাজ গুটিয়ে পালাতে হবে। তুমি বীরভূমে আর এই জায়গায় দাঁড়াতে পারবে না।
বৈশাখী বলেছেন, এমনিতে অক্সিজেন পৌঁছয় না। ওকে ঘরে বন্দি করে দেব নির্বাচনের সময়। আমার বিরুদ্ধে অনেক আপত্তিকর কথা বলেছেন। আমি আইনি নোটিস পাঠিয়েছি। উনি কী খেলা খেলবেন?
রামপুরহাট শহরে যে ৪ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে এদিন বিজেপির রোডশো হয়, সেখান থেকে ২০ কিলোমিটার দূরেই হাঁসনের বিষ্ণুপুর এলাকা। সেখানে মহিলা তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে সভা করেন অনুব্রত মণ্ডল। বিজেপির আক্রমণের জবাব দিয়েছেন তিনি। বলেছেন,নিজের বউ, ছেলেকে সামালতে পারে না, পরের লোককে নিয়ে ঘর করে। একটা ফালতু লোক। একটা বাজে ছেলে। যার ছেলে, স্ত্রী থাকতেও অন্যকে নিয়ে ঘর করে সে ভদ্রলোক হয় কী করে?
২৯ এপ্রিল শেষ দফায় বীরভূম জেলার ১১টি আসনে ভোটগ্রহণ।তার আগে লালমাটির জেলার বসন্ত বাতাসে এখন রাজনৈতিক বাগযুদ্ধের গরম হলকা।