রুমা পাল ও দীপক ঘোষ, কলকাতা:  দুয়ারে রেশন থেকে স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড। যোগ্য পরিবারের ন্যূনতম মাসিক আয় সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি বার্ষিক ৫ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা। মানুষের মন জয়ে তৃণমূলের হাতিয়ার, দিদির ১০ অঙ্গীকার। পাল্টা বিজেপির কটাক্ষ,  ক্ষমতায় ফিরবে না তৃণমূল! তাই প্রতিশ্রুতিরক্ষার দায় নেই।


এবারের ভোট-যুদ্ধে পরিচিত স্লোগান ‘খেলা হবে’। ফুটবলের যুদ্ধে খেলা ঘোরাতে সবার নজর থাকে ১০ নম্বর জার্সিধারীর দিকে।বঙ্গ ভোটের খেলা ঘোরাতে কার্যত সেই ১০ নম্বরই অস্ত্র তৃণমূলের। প্রচারের হাতিয়ার ‘দিদির ১০ অঙ্গীকার’।


কী সেই ১০ অঙ্গীকার? তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, মূল ফোকাসে থাকছে বাংলার অর্থনীতি,খাদ্য সুরক্ষা,শিল্প,কৃষি,শিক্ষা,স্বাস্থ্য,বাসস্থান,বেকারত্ব,যুব সম্প্রদায়ের উন্নয়ন এবং সামাজিক ন্যায় ও সুরক্ষার মতো বিষয়গুলি।


এর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয়টি হল, প্রতি মাসে রাজ্যের ‘দেড় কোটি পরিবারের দুয়ারে রেশন সরবরাহ’ করার অঙ্গীকার।


এছাড়াও, অঙ্গীকার করা হয়েছে,বাংলার শহরাঞ্চলে মোট ২৫০টি মা ক্যান্টিন নির্মাণ। যেখানে ৫ টাকায় খাবার মিলবে।


শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধি। প্রত্যেক ব্লকে ১টি করে মডেল আবাসিক স্কুল।


প্রত্যেক জেলা সদরে মেডিক্যাল কলেজ নির্মাণ।


শিল্পের ক্ষেত্রে ৫ বছরে ৫ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা।


বার্ষিক ৫ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা।


বাংলার যুব সম্প্রদায়কে স্বাবলম্বী করতে স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড।


সুখী কৃষক ও কৃষক বন্ধু প্রকল্পে ৬৮ লক্ষ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে সাহায্য।


কৃষক বন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে একর পিছু বার্ষিক ১০ হাজার টাকা সহায়তা।


এই প্রথম, বাংলায় প্রতি পরিবারের ন্যূনতম মাসিক আয় নিশ্চিত করতে প্রকল্প। ১ কোটি ৬০ লক্ষ যোগ্য পরিবারকে ৫০০ টাকা করে সাহায্য। পরিবারপিছু বার্ষিক ৬ হাজার টাকা।


৪৭ লক্ষ পরিবারকে নলযুক্ত পানীয় জল।


বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ৫ লক্ষ স্বল্পমূল্যের আবাসন।


মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার ভোটের প্রচারে বলেছেন,এই ভোটটা আমার ভোট, এই ভোটে না জিতলে আমি সরকার করতে পারব না। বিজেপি বলবে, এই দেব, ওই দেব, কেরোসিন, রান্নার গ্যাসের দাম বেড়েছে। শুধু মিথ্যে কথার বুজরুকি।


তৃণমূলের প্রতিশ্রুতিকে কটাক্ষ করে রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন,এরপর ওঁরা বলবেন, বাড়ি বাড়ি ডাক্তার পাঠাবো, এক্স-রে মেশিন পাঠাবো, টিচার পাঠাবো। প্রতিশ্রুতিরক্ষার দায়বদ্ধতা নেই ওনার, কারণ আর তো ফিরতে পারবেন না, এটা ওঁরা জানেন।


২৭ মার্চ শুরু হতে চলেছে রাজ্য বিধানসভার হাইভোল্টেজ নির্বাচন। বুধবার নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করবে তৃণমূল। তার আগে ‘দিদির ১০ অঙ্গীকার’ সামনে এনে চমক দিল তৃণমূল।