কলকাতা: রাজ্যে ভোটের প্রচারে এসে বাটলা হাউস মামলায় আদালতের রায়কে হাতিয়ার করে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা।  তিনি বলেছেন, আদালতের রায়েই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে, ওই ঘটনা ভুয়ো ছিল না। তাঁর প্রশ্ন, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতি ছাড়ছেন কবে?


বাঁকুড়ার কোতলপুরে বিজেপির জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে নাড্ডা বলেছেন, মমতা বাটলা হাউসে এনকাউন্টারকে ভুয়ো বলে মন্তব্য করেছিলেন। তখন বলেছিলেন, এই ঘটনা সাজানো না হলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। এখন তো আদালত আরিজ খানের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। এখন আমি মমতার কাছে জানতে চাই, তিনি কখন রাজনীতি ছাড়বেন?


সোমবার দিল্লির একটি আদালত ২০০৮-এর বাটলা হাউস এনকাউন্টার মামলায় দোষী সাব্যস্ত আরিজ খানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। ওই ঘটনাকে বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ আখ্যা দিয়ে অতিরিক্ত দায়রা বিচারক সন্দীপ যাদব অভিযুক্তের ১০ লক্ষ টাকা জরিমানাও করেছেন। সেই জরিমানার অর্থ নিহত মোহন চাঁদ শর্মার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন।


২০০৮-র ১৩ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে পাঁচটি ধারাবাহিক বিস্ফোরণের  এক সপ্তাহ পর বাটলা হাউসের ঘটনা ঘটেছিল। পুলিশের স্পেশ্যাল সেলের ইন্সপেক্টর মোহন চাঁদ শর্মা এনকাউন্টারে নিহত হয়েছিলেন।


এই মামলার রায় নিয়েই এবার রাজ্যে ভোটের প্রচারে এসে মমতাকে নিশানা করেছেন বিজেপি সভাপতি।


ভোটের প্রচারে সব দলের শীর্ষ নেতারাই বিভিন্ন সম্প্রদায়কে বার্তা দিচ্ছেন। অনগ্রসর হিন্দু জনগোষ্ঠীকে সংরক্ষণের সুবিধা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেপি নাড্ডা। একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতিরও অভিযোগ করেছন তিনি। নাড্ডা বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু তুষ্টিকরণের রাজনীতি করেছেন। তাঁর তুষ্টিকরণের রাজনীতির জন্যই অনগ্রসর হিন্দু জনগোষ্ঠী সংরক্ষণের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। যেমন মাহিষ্য, তিলি। এরা সংরক্ষণের সুবিধা পাননি। কিন্তু বিজেপি ক্ষমতায় এলে, কমিশন আসবে। মণ্ডল কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, মাহিষ্য, তিলি বা সেই ধরণের অনগ্রসর হিন্দু জনগোষ্ঠীকে সংরক্ষণের সুবিধা দেওয়া হবে ৷


পাল্টা তৃণমূল নেত্রীর কটাক্ষ,   আমার খাবার এনে দেয় যে, সে কিন্তু বাউরি মেয়ে। আমি বিজেপি-র মতো পাঁচতারা হোটেলের খাবার খেয়ে দেখাই না। আমার ভাইয়ের বউ তফশিলি সম্প্রদায়ের। আমাদের পরিবার এ ভাবেই চলে। কোনও ভেদাভেদ নেই।