আবীর দত্ত, সুতি: ওয়েবসিরিজের গল্পের মতো ঘটনা। যেখানে পঙ্কজ ত্রিপাঠি ভোট দিতে গিয়ে দেখেন ভোটার তালিকা অনুযায়ী তিনি মৃত। এরপর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এগোয় চিত্রনাট্য। এই ঘটনার হুবহু প্রতিফলন বাংলার ভোটে।সুতি বিধানসভার ৭৬ নম্বর বুথে ঘটল তেমনই একটি ঘটনা।
ভোটার এখনও জীবিত। কিন্তু, ভোট দিতে গিয়ে দেখলেন তালিকায় তাঁদের নাম মৃত হিসেবে উল্লেখ! এর জেরে ভোটই দিতে পারলেন না তিন জন। সুতি বিধানসভার হাতানিয়া অঞ্চলের ঘটনা। তিনজন ভোটারের ক্ষেত্রে ঘটে গেল এই ঘটনা। একজন নতুন ভোটার, একজন মহিলা, আরেকজন প্রবীন।
জানুয়ারিতেই ভোটার কার্ড করিয়েছেন শেখর দাস। আছে আধার কার্ড। কিন্তু তাঁর নামের আগে মৃত বলে উল্লেখ।
রঞ্জিত দাস। সশরীরে দাঁড়িয়ে দেখলেন তিনি ভোটার তালিকা অনুসারে তিনি মৃত। ' দরখাস্ত করতে চেয়েছিলাম, তাও বিডিও বললেন,এখন কিছু করা যাবে না। ফলে ওরা ভোট দিতে পারবে না। ' দাবি ভোটারের।
আরেকজন মহিলার ক্ষেত্রেও ঘটে গেল একই ধরনের ঘটনা। তাঁর বাড়িতে ভোটার স্লিপও দিয়ে আসা হয়। কিন্তু তিনিও ভোটার তালিকা অনুসারে মৃত। ফলে যথাযথ নথি থাকা সত্ত্বেও ভোট দেওয়া অনিশ্চিত হয়ে গেল তিন ভোটারের। আর কয়েকঘণ্টা বাকি ভোটের । আর হয়ত এই বিধানসভা ভোটে ভোটাধিকার প্রয়োগই করা হবে না তাঁদের। ঠিক যেন সেলুলয়েডের চিত্রনাট্য।
রাজ্যে সপ্তম দফায় ৫ জেলার ৩৪টি আসনে ভোটগ্রহণ চলছে। মালদার ৬টি আসন হল হবিবপুর, গাজোল, চাঁচল, হরিশ্চন্দ্রপুর, মালতীপুর ও রতুয়া। মুর্শিদাবাদ জেলার ৯টি আসন হল, ফরাক্কা, সুতি, রঘুনাথগঞ্জ, সাগরদিঘি, লালগোলা, ভগবানগোলা, রানিনগর, মুর্শিদাবাদ ও নবগ্রাম।
সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে যথাক্রমে কংগ্রেস ও আরএসপি প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় ওই দুই কেন্দ্রে ভোট হবে ১৬ মে। পশ্চিম বর্ধমানের ৯টি বিধানসভা আসনেও শুরু হয়েছে ভোট। এগুলি হল, পাণ্ডবেশ্বর, দুর্গাপুর পূর্ব, দুর্গাপুর পশ্চিম, রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া, আসানসোল দক্ষিণ, আসানসোল উত্তর, কুলটি ও বারাবনি। দক্ষিণ দিনাজপুরের ৬টি আসন হল, কুশমণ্ডি, কুমারগঞ্জ, বালুরঘাট, তপন, গঙ্গারামপুর ও হরিরামপুর। কলকাতার ৪টি আসনে ভোট হচ্ছে। এগুলি হল কলকাতা বন্দর, ভবানীপুর, রাসবিহারী ও বালিগঞ্জ।