নয়াদিল্লি ও কলকাতা: শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পর পূর্ব মেদিনীপুরের জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন যে, নন্দীগ্রাম থেকে তিনি প্রার্থী হবেন। জমি আন্দোলনের কেন্দ্রভূমি নন্দীগ্রাম আসন থেকেই গত  বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে জিতেছিলেন। সেই নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর গড়ে দাঁড়িয়ে তৃণমূল নেত্রী চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন ওই আসনে প্রার্থী হওয়ার কথা বলে। পাল্টা শুভেন্দু বলেছিলেন, নন্দীগ্রামে তিনি মমতাকে অন্তত ৫০ হাজার ভোটে হারাবেন।


এরপর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষনা হয়েছে। এখন সবার নজর নন্দীগ্রাম আসনের দিকে। এই আসনে কি দেখা যাবে প্রাক্তন দলনেত্রীর সঙ্গে সুশান্তর দ্বৈরথ? বিজেপি সূত্রে খবর, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে শুভেন্দু অধিকারীকেই দাঁড় করাতে পারে বিজেপি।


দিল্লিতে বিজেপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে আলোচনা হয়।বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার বাড়িতে বিজেপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে বৈঠক হয়। প্রথম দু’দফার প্রার্থী চূড়ান্ত করতে বৈঠক হয়। অমিত শাহ, নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করেন দিলীপ, মুকুল, শুভেন্দুরা।


দিল্লিতে মমতা-মন্ত্রিসভার অপর এক প্রাক্তন সদস্য রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, নন্দীগ্রাম থেকেই লড়তে চান শুভেন্দু অধিকারী। দিল্লিতে দলের বৈঠকে নিজেই জানিয়েছেন শুভেন্দু। এ ব্যাপারে  চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দল, মন্তব্য করেছেন রাজীব । তিনি নিজে ডোমজুড় থেকেই প্রার্থী হতে চান।


বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী গতকাল  ফের বলেছেন, ‘আমি নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাব। নিশ্চিত থাকবেন, হারাব আমি। দল প্রার্থী করলে, সরাসরি হারাব। অন্য কাউকে প্রার্থী করলেও হারাব। পদ্ম ফোটাব। দায়িত্বটা আমার।’’


গত ৭ ফেব্রুয়ারি   তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ''পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষ এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করবেন, আপনাদের হাতে বড় দায়িত্ব। মায়ের সঙ্গে যাঁরা বিশ্বাসঘাতকতা করে তাঁদের ছেড়ে কথা বলা উচিত নয়। অতি চালাকের গলায় দড়ি। এটা কিন্তু এখন আর শুধু তৃণমূলের সরকার বাঁচানোর লড়াই নয়। এটা মেদিনীপুরের অস্তিত্বের লড়াই।


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া এখনও কোন পক্ষই অবশ্য তাঁদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেনি! প্রার্থী ঘোষণার আগেই বাকযুদ্ধ তুঙ্গে উঠেছে। নন্দীগ্রামে কি এবার ক্ল্যাশ অফ টাইটানস্? অপেক্ষা শুধু বিজেপির প্রার্থীতালিকার ঘোষণা।