কোচি: কেরলে এবারের বিধানসবা নির্বাচনে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী হলেন ‘মেট্রো ম্যান’ ই শ্রীধরন। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। কেরলের বিজেপি সভাপতি কে সুরেন্দ্রন জানিয়েছেন, ‘দল শীঘ্রই অন্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করবে।’


সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন ‘মেট্রো ম্যান’। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, দল যদি তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী করে, তাহলে তাঁর আপত্তি নেই। শেষপর্যন্ত সেটাই হল। 


৮৮ বছর বয়সি শ্রীধরন দিল্লি মেট্রোর অন্যতম স্থপতি। তিনি গত সপ্তাহে বিজেপিতে যোগ দেন। তার আগে তিনি সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘কেরলে বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপি যদি চায়, তাহলে আমি মুখ্যমন্ত্রী হতে রাজি। আমি মুখ্যমন্ত্রী না হলে যে যে কাজ করতে চাইছি, সেগুলির উপর গুরুত্ব দিতে পারব না। আমি রাজ্যপাল হতে চাই না। কারণ, সেটা পুরোপুরি সাংবিধানিক পদ। কোনও ক্ষমতাই নেই।’


‘লাভ জিহাদ’ নিয়েও সরব হন শ্রীধরন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কেরলে কী হয়, সেটা আমি দেখেছি। হিন্দু মেয়েদের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে নেওয়া হচ্ছে। তাঁদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। শুধু হিন্দুই নয়, মুসলিম, খ্রিস্টান মেয়েদেরও ফাঁদে ফেলে বিয়ে করা হচ্ছে। আমি এটার বিরোধিতা করব।’ 


শ্রীধরন আরও বলেন, ‘কেরল দেনার ফাঁদে জড়িয়ে গিয়েছে। প্রচুর ধার হয়ে গিয়েছে। আজ প্রত্যেক মালয়লির ধার ১.২ লক্ষ টাকার। তার মানে আমরা দেউলিয়া হওয়ার দিকে এগোচ্ছি। তারপরেও সরকার ধার নিয়ে চলেছে। রাজ্যের অর্থনীতিকে ঠিক পথে আনতে হবে। আমাদের সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। ইউডিএফ ও এলডিএফ পালা করে কেরল শাসন করছে। তারা রাজ্যের কোনও উন্নতি করতে পারেনি। গত ২০ বছরে রাজ্যে একটিও শিল্প আসেনি। ওরা সবসময়ই কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে ঝগড়া করে। দুই সরকার অনেক বিষয়েই চোখে চোখ রাখতে পারে না। তার ফলে রাজ্যের উন্নতি ধাক্কা খাচ্ছে। এখানে যদি বিজেপি ক্ষমতায় আসে, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে তাদের ভাল সম্পর্ক থাকবে।’


আজ শ্রীধরন বলেছেন, ‘আমি যে কোনও কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়াই করতে রাজি। তবে আমি এখন যেখানে আছি, সেই মলপ্পুরমের পোন্নানি থেকে বেশি দূরে কোনও কেন্দ্র না হলেই ভাল হয়। আমি জয়ের বিষয়ে নিশ্চিত। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, বিজেপি ক্ষমতায় আসবে।’