সুব্রত গলুই, হাওড়া: সোনার হরিণ? পেতে পারেন। ভুতের রাজার বর? তাও পেতে পারেন। কিন্তু বঙ্গে হিংসা ছাড়া ভোট? ২০২১-এ দাঁড়িয়েও তা বোধহয় সম্ভব নয়। তৃতীয় দফা ভোটের আগের রাতে হাওড়ার বাগনানে আক্রান্ত হলেন তৃণমূলের বুথ সভাপতি। ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে।


গুরুতর জখম বাগনানের হ্যালান অঞ্চলের তৃণমূলের ২৩৩ নম্বর বুথ সভাপতি যোগীবর বাগ। ঘটনা সোমবার রাত। ঘড়ির কাঁটায় রাত ১০ টা। তৃতীয় দফার আগে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে সেসময়। তৃণমূলের দাবি, সেসময় বুথের কর্মীদের রাতের খাবার দিয়ে ফিরছিলেন যোগীবর বাগ সহ বেশ কয়েকজন। অভিযোগ, সেসময় দুটি বাইকে এসে তাঁদের পথ আটকায় ৪ জন বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী। লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয় যোগীবর বাগকে। এরপর তাঁকে এলোপাথারি কোপানো হয়। ঘটনায় কার্যত হতবাক এলাকাবাসী।


বাগনানের আক্রান্ত তৃণমূলের বুথ সভাপতির ভাইপো প্রশান্ত বাগ বলেন, ‘‘রাত ১০টার সময় বুথের কর্মীদের খাবার দিয়ে ফিরছিল,লাথি মেরে ফেলে দিয়ে কোপানো হয় ৷ বাগনান গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’’


ঘটনায় সরাসরি বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছে রাজ্যের শাসক দল। বাগনানের তৃণমূল প্রার্থী অরুণাভ সেন বলেন, ‘‘পায়ের তলায় মাটি চলে গেছে, তাই হামলা করেছে বিজেপি, এসব করে লাভ হবে না ৷’’ অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের পাল্টা দাবি, এসব তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। বাগনানের বিজেপি প্রার্থী অনুপম মল্লিক বলেন, এটা নিছকই দলীয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তৃণমূলের দলীয় ঝামেলা ছাড়া আর কিছুই নয় ৷


তৃণমূল বুথ সভাপতির আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে ঘটনার পরপরই জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করে নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, হামলার পর বোমা ছুঁড়তে ছুঁড়তে এলাকা ছাড়ে দুষ্কৃতীরা। জখম বুথ সভাপতির ছেলে অন্য দুই হামলাকারীকে চিহ্নিত করেছেন।