কলকাতা: দীর্ঘদিন ধরে ভোট দিতে না পেরে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখিয়েছেন মানুষ। দাদাগিরি করতে যাওয়া উচিত হয়নি সুজাতার। এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।


আরামবাগে এদিন লাঠি-বাঁশ হাতে তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলকে ঘিরে ধরে ঘিরে ধরে মারমুখী জনতা। তৃণমূল প্রার্থীর নিরাপত্তারক্ষীরা কোনওক্রমে তাঁকে আড়াল করার চেষ্টা করছিলেন, এরইমধ্যে তৃণমূল প্রার্থীর মাথায় এসে পড়ে লাঠির বাড়ি। জখম হন তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীও। এরপর চাষের খেত দিয়ে কার্যত পালাতে হয় সুজাতাকে।


যে ঘটনা নিয়ে জানতে চাওয়া হলে সৌমিত্র খাঁ বলেন,’ ১০ বছর ধরে ওই বুথের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। গ্রাম পঞ্চায়েত, আগের বিধানসভা থেকে লোকসভা, কোনওবারই ভোট দিতে পারেনি ওখানকার মানুষ। তাই এটা মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ, ওই মানুষদের ভোট আটকে দেওয়ার যে চক্রান্ত হয়েছিল সেটার বিরুদ্ধেই মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।‘


বিরক্তির প্রকাশ আরও কিছুটা বাড়িয়ে তাঁর সংযোজন, ‘কোনও প্রার্থীরই উচিত নয় তারা কোথায় ভোট দেবে তা দেখতে যাওয়া। তাই সেখানে গিয়ে দাদাগিরি করব এটা কোনও প্রার্থীরই উচিত নয়, সুজাতারও উচিত হয়নি।‘


এদিকে তাঁর ওপর আক্রমণ, গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা নিয়ে আরামবাগের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল খাঁ বলেন, ‘‘ভোটারদের নিয়ে যখন ভোট দেওয়াতে নিয়ে যাই, তখন বিজেপি হামলা চালায়, আমার মাথায় ফাটিয়ে দেওয়া হয়, হাতে পায়ে লেগেছে। দৌড় মহল্লা পাডায় আসি। শেল্টার দিয়েছে, মমতা অভিষেক ফোন করেছি। কমিশনে অভিযোগ দায়ের করিছি ৷’’


সময়ের প্রবাহে আপাতত রাজ্যের দুই যুযুধান শিবিরে সৌমিত্র খাঁ ও সুজাতা মন্ডল। একসময় বাঁকুড়ায় ঢুকতে না পারা সৌমিত্রকে সাংসদ করার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন সুজাতা। কিন্তু কয়েকমাস আগে অবশ্য তৃণমূল শিবিরে যোগ দেন তিনি। যে ঘটনার পর থেকেই দু'জনের পারিবারিক সম্পর্কে ফাটল ধরে।


সাংবাদিক সম্মেলন ঢেকে কান্না মুছতে মুছতে বিবাহ বিচ্ছেদের কথা বলেন সৌমিত্র। সবরকম সম্পর্ক ছেদের কথাও জানান। সুজাতা মন্ডল খাঁ অবশ্য সম্পর্কে দাড়ি টানার পক্ষপাতী হননি কখনই। বরং মাঝেমধ্যেই 'সুমতি'র প্রত্যাশা করে ফের একসঙ্গে হওয়ার প্রত্যাশা প্রকাশ করেন তিনি।