সুনীত হালদার, হাওড়া: ভোটের মুখে হাওড়ায় তৃণমূল কংগ্রেসে ফের ভাঙন। এবার দল ছাড়লেন পাঁচলা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি। যোগ দিলেন আইএসএফে। দলত্যাগ করেই দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। দলত্যাগের কোনও প্রভাব পড়বে না, দাবি করেছে তৃণমূল। রাজ্যের শাসক দলকে পাল্টা কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
নীলবাড়ির ক্ষমতা ধরে রাখতে আদাজল খেয়ে ময়দানে নেমেছে তৃণমূল। হুইলচেয়ারে বসেই রবিবার ধর্মতলা থেকে হাজরা পর্যন্ত মিছিলে সামিল হয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতেই হাওড়ায় ফের ভাঙন ধরল তৃণমূল কংগ্রেসে। কয়েকজন অনুগামীকে সঙ্গে নিয়ে দল ছাড়লেন পাঁচলা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি শেখ জলিল। তিনি দল বদলে যোগ দিলেন ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফ-এ। আর নতুন দলে যোগ দিয়েই পুরনো দলের একাংশের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ-সহ একাধিক অভিযোগ করলেন শেখ জলিল।
এই তৃণমূলত্যাগী নেতার দাবি, ‘আমি দলের একাংশের উপর বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছি। দলে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। দলীয় নেতৃত্বের কাছে বারবার জানানো সত্ত্বেও কোনও সুরাহা হয়নি। এই কারণেই দল ছাড়লাম।’
তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই দলে ছিলেন শেখ জলিল। ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি পাঁচলা পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন। এরপর ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। দল ছাড়ার আগে পাঁচলা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি ছিলেন শেখ জলিল। এছাড়া পাঁচলা বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। দলত্যাগের আগেই সব পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি।
দোরগোড়ায় ভোট। এই অবস্থায় জনপ্রিয় নেতা বলে পরিচিত শেখ জলিল আইএসএফ-এ যোগ দিলেও, দলে কোনও প্রভাবই পড়বে না বলে দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে আরও এক তৃণমূল নেতার দলত্যাগ নিয়ে শাসক দলকে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি। ১০ এপ্রিল এই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। শেখ জলিল আইএসএফ-এ যোগ দেওয়ায় পাঁচলায় এবার লড়াই জোরদার হবে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।