ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: বহু যুদ্ধের পোড় খাওয়া সেনাপতি। অল্প কিছু মুখে দিয়েই সকাল সকাল বেড়িয়ে পড়ছেন প্রচারে। ছিমছাম খাওয়া-দাওয়াই পছন্দ তাপস রায়ের। সন্ধেয় দলীয় কর্মীদের সঙ্গে হালকা টিফিন। রাতে বাড়ি ফিরে ডিনার। এটাই তাপস রায়ের পাওয়ার মিল।


মাথার ওপর চৈত্রের চড়া রোদ ৷ তারই মধ্যে প্রচারের ঘাম ঝরানো ব্যস্ততা ৷ এপাড়া থেকে ওপাড়া, এ-গলি থেকে ও-গলি ৷ ষাটোর্ধ্ব মন্ত্রী ঘুরছেন বাড়ি বাড়ি ৷ সাতসকাল থেকে গভীর রাতে গিয়ে শেষ ৷ এটাই আপাতত বরানগরের তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের রুটিন ৷ 


এবার পরিস্থিতি অন্যরকম। বিলক্ষণ জানেন, বহু যুদ্ধের পোড় খাওয়া সেনাপতি। সকাল সকাল বউবাজারের বাড়ি থেকে অল্প কিছু মুখে দিয়েই বেরিয়ে পড়ছেন তাপস। 


এরপর টানা প্রচার। দুপুরবেলা পাত পড়ছে দলের কোনও কর্মী কিংবা কাউন্সিলরের বাড়িতে। খাওয়া-দাওয়া ছিমছাম। ভাত, সুক্তো, ডাল, পাবদা মাছ, টক দই ৷ 


উৎসাহী গৃহকর্তা, মন্ত্রীর জন্য পেল্লায় কাতলা মাছের পেটি রান্না করিয়েছিলেন। কিন্তু গরমে গুরুপাক নৈব নৈব চ। পাবদা খেলেন। কাতলা নয়। বরানগরের তৃণমূল প্রার্থী তাপস রায় বলেন, ‘‘আমি স্বল্পাহারী লোক, মাছের ঝোল-ভাত, তিতো চাই, ডাল চাই দু’বেলা। সব মাছ খাই না, ৭-৮ রকমের মাছ খাই, টকদই খাই প্রতিদিন, এই হচ্ছে আমার পাওয়ার মিল ৷’’


আক্ষরিক অর্থেই পাওয়ার মিল। কারণ, পুষ্টিবিদরা বলছেন, ভাত প্রধানত শর্করা সরবরাহ করে। শরীরে প্রোটিনের যোগান দেয় ডাল। সবজিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ। মাছে থাকে ভিটামিন-এ এবং বিপুল পরিমাণে ক্যালসিয়াম। সকাল থেকে দুপুর অবধি টানা প্রচার। 


মাঝে মধ্যাহ্নভোজের বিরতি। তারপর রোদ একটু পড়তেই ফের প্রচার। টানা রাত অবধি। সন্ধেয় দলীয় কর্মীদের সঙ্গেই হালকা টিফিন। রাতে বাড়ি ফিরে ডিনার। তাপস রায় আরও জানান, ‘‘মিষ্টি খাই না, ডাবের জল খাচ্ছি, জল খাচ্ছি আর নুন-লেবুর সরবত ৷’’


ছাত্র নেতা থেকে আজকের মন্ত্রী। দীর্ঘদিনের নির্বাচনী অভিজ্ঞতা। প্রবল গরমে প্রচারের মাঝে সুস্থ থাকতে নিজের অভিজ্ঞতা আর পাওয়ার মিলেই ভরসা রাখছেন তাপস রায়।