কলকাতা: উত্তরপ্রদেশ বা বিজেপি-শাসিত অন্য কোনও রাজ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য সশস্ত্র পুলিশবাহিনী আনা চলবে। এই দাবি জানিয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি দিল তৃণমূল কংগ্রেস।
এই চিঠিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘আমাদের নজর এসেছে, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে উত্তরপ্রদেশ থেকে ৩০ কোম্পানি সশস্ত্র পুলিশবাহিনীকে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য মোতায়েন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিজেপি-শাসিত নয়, এমন কোনও রাজ্য থেকে বাহিনী আনায় আমাদের কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু বিজেপি-শাসিত উত্তরপ্রদেশ থেকে সশস্ত্র পুলিশবাহিনী আনার ক্ষেত্রে আমাদের তীব্র আপত্তি আছে। কারণ, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বিজেপি-র তারকা প্রচারক। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় নিরপেক্ষতা বজায় থাকবে না। আমাদের সন্দেহ, বিজেপি-র প্রতি তাঁদের পক্ষপাতিত্ব থাকবে। সেই কারণে আমরা নির্বাচন কমিশনকে উত্তরপ্রদেশ বা বিজেপি-শাসিত অন্য কোনও রাজ্য থেকে সশস্ত্র পুলিশ আনা অবিলম্বে বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি।’
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়মিত বহিরাগত ইস্যুতে বিজেপি-কে আক্রমণ করছেন। তাঁর অভিযোগ, বহিরাগত গুণ্ডা আনছে বিজেপি। এবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে ভিনরাজ্যের পুলিশ নিয়েও সরকারিভাবে আপত্তির কথা জানানো হল।
গতকালও পুরুলিয়ার সভা থেকে মমতা বলেন, ‘বহিরাগত গুন্ডাদের দিয়ে বিজেপি বাংলা দখল করতে চায়। ঝাড়খণ্ডে আদিবাসীদের জমি কেড়ে নিয়েছে। তাই বলি রান্নাও করবেন, হাতা-খুন্তি দিয়ে খেলাও করবেন। বহিরাগত গুন্ডা, পান খাচ্ছে, মুখ দিয়ে গড়াচ্ছে, মাথায় তিলক কেটে বলছে, বিজেপিকে ভোট দিন। আমরা টাকা দিচ্ছি।’
তৃণমূল নেত্রী আরও বলেন, ‘ভোটের দিন বিজেপি রেলে করে লোক নিয়ে আসবে। আপনার একটা ভোটের দাম খুব বেশি। বাইরে থেকে লোক এলেই পুলিশে খবর দিন। কেন উত্তর প্রদেশ থেকে পুলিশ আনা হচ্ছে? বুথ দখল করতে? ভোট হয়ে গেলে ভোটের মেশিন পাহারা দিতে হবে। স্টেট পুলিশ যদি ইলেকশনের আন্ডারে হয়, তাহলে দিল্লির পুলিশও ইলেকশনের আন্ডারে হবে। তা কেন হবে না?’ এরপরেই আজ নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিল তৃণমূল।