অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: ভোটপ্রচারে অভিনব কৌশল তৃণমূল কংগ্রেসের। এবার প্রচারে বেরিয়ে সবার মাথায় টুপি পরাচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা। তাঁরা নিজেরা পরে ঘুরছেন, অন্যদের মাথাতেও পরিয়ে  দিচ্ছেন নীল সাদা রঙের এই টুপি। টুপির সামনে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি এবং ওপরে লেখা রয়েছে ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবির নীচে তৃণমূলের প্রতীক চিহ্ন।


তৃণমূল সূত্রে খবর, দিল্লি থেকে আনানো হয়েছে এই বিশেষ টুপি। এই টুপির পিছনদিকেও রয়েছে তৃণমূলের প্রতীক চিহ্ন। তার সঙ্গে লেখা রয়েছে ‘দিদির দূত’। বিজেপি-র রথের পাল্টা ‘দিদির দূত’ পৌঁছে যাচ্ছে বিভিন্ন জেলায়। রথযাত্রার মাধ্যমে বিজেপি যেভাবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাদের প্রচার কর্মসূচি এবং জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছে, তারই পাল্টা তৃণমূলের তরফ থেকে জেলায় জেলায় ঘুরে বেড়াচ্ছে ‘দিদির দূত’। এই গাড়িতে চেপে তৃণমূলের বিভিন্ন নেতা-নেত্রীরা পৌঁছে যাচ্ছেন জেলায় জেলায় এবং প্রচার করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা। আর দিদির অন্যতম প্রধান হিসেবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অংশ নিচ্ছেন এই কর্মসূচিতে। ‘দিদির দূত’ যেখানে যেখানে যাচ্ছে সেখানেই এই কর্মসূচি পালন হচ্ছে। তৃণমূল কর্মীরা বিলি করছেন এই ধরনের টুপি।




গরমের দিনে সাধারণ মানুষকে দেওয়া এই টুপিতে থাকছে ‘দিদির দূত’ লেখা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। ফাল্গুনের রোদের তাপ ক্রমশ বাড়ছে। আর সেই তাপ থেকে বাঁচতেই বহু মানুষ  টুপি ব্যবহার করে থাকেন। সাধারণ মানুষ থেকে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরাও এই টুপি মাথায় পরছেন রোদের তাপ থেকে বাঁচতে। আর এর ফলে ‘দিদির দূত’ কর্মসূচি বড় করে পালন করার পাশাপাশি পাড়ায় পাড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে ‘দিদির দূত’-এর এই বার্তা।


তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের দাবি, সাধারণ মানুষকে রোদ থেকে বাঁচাতে এই টুপি বিলি করা হচ্ছে। তার পাশাপাশি এটা একটা স্মারকও বটে। যাঁরা দিদিকে ভালবাসেন, তাঁরা এই টুপি তাদের সংগ্রহে রাখবেন।


পাল্টা বিজেপি-র বক্তব্য, সাধারণ মানুষকে টুপি পরানোর কাজ তৃণমূল বহুদিন আগেই শুরু করেছে। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি, ভাঁওতা দিয়ে সাধারণ ভোটারদের টুপি পরাচ্ছেন তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা।


বিধানসভা নির্বাচনের আগে সামান্য টুপি নিয়েও তর্ক-বিতর্ক চলছে। কিন্তু তার মাঝেই বিলি করা হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টুপি। আর এভাবেই ‘দিদির দূত’-এর বার্তা ভোটারদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে ।কিন্তু ভোটের সময় সে কথা ভোটাররা মাথায় রাখবেন কি না, তার উত্তর অবশ্যই সময় দেবে।