রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: একসময়ের দিদি-ভাইয়ের সম্পর্ক এখন অতীত। বর্তমানে একে অপরের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। সোনারপুর উত্তর বিধানসভার এবার দিদি বনাম ভাইয়ের লড়াই জমজমাট।


সোনারপুর উত্তর বিধানসভার গত দু’বারের বিধায়ক ফিরদৌসী বেগমের ছায়াসঙ্গী ছিলেন রঞ্জন বৈদ্য। কখনও সিপিএম আবার কখনও বিজেপিকে আটকাতে একসঙ্গে লড়াই করেছেন তাঁরা। একসঙ্গে এই লড়াইয়ে করাকে হাতিয়ার করেই সুবক্তা রঞ্জন বৈদ্য দিদির বিশেষ আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। একসময় দলের জেলা সভাপতির অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাঁকে জেলা পরিষদ আসনের দাঁড় করান এবং জয়ী করেন। গত বছরের শুরুর দিক থেকে সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে। বারবার চেষ্টা করেও সম্পর্কের বরফ আর গলানো যায়নি। শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে একই দিনে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন রঞ্জন বৈদ্য। বিজেপিতে যোগদানের আগে অবশ্য দল ছাড়ার বিষয়টি মেসেজ করে জানিয়েছিলেন দিদিকে।




মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রতীক করে প্রচার তৃণমূলের।


পেশায় শিক্ষক রঞ্জন বৈদ্য। অন্যদিকে এখনও গৃহবধূ ফেরদৌসী বেগম। একে অপরের বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারে নামলেও, কেউ কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে রাজি নন। দু’জনেই ভোট ময়দান উতরাতে চাইছেন উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই।


রবিবার সকাল থেকে খেয়াদহ এলাকায় নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন বিজেপি প্রার্থী রঞ্জন বৈদ্য। বিগত নির্বাচনগুলোতে এই অঞ্চলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস করার অভিযোগ আনলেন তিনি। এলাকায় সন্ত্রাস রুখতে এবং উন্নয়নের স্বার্থে তাকে জয়ী করার আবেদন জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে। রঞ্জনের দাবি, তাঁর জয় ২০০ শতাংশ নিশ্চিত।


অন্যদিকে বোড়াল অঞ্চলে নির্বাচনী প্রচার দিদি ফিরদৌসী বেগমের। তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের নিয়ে বাড়িতে বাড়িতে প্রচার চালাচ্ছেন তিনি। তুলে ধরছেন বিগত ১০ বছরের উন্নয়নের খতিয়ান। যে কাজ বাকি আছে তা ফের ক্ষমতায় এলে দ্রুত শেষ করার আশ্বাসও দিচ্ছেন। বিরোধী প্রার্থী রঞ্জন বৈদ্য সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এই লড়াই তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির। বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছেন। ফের তৃণমূলই জিতবে।’