পূর্ব মেদিনীপুর: নিজের গড়েই আক্রান্ত সৌমেন্দু অধিকারী। কাঁথি দক্ষিণের সাবাজপুটে বিজেপি নেতার গাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত গাড়ির চালকও। আর এই প্রেক্ষিতে ছেলের রক্ষায় এগিয়ে এলেন বাবা। জানিয়ে দিলেন, যারা করেছে, তাদের ওষুধ প্রয়োগ করে ঠিক করে দেবেন। 


এদিন সাংবাদিক সম্মেলেনে প্রবীণ নেতা বলেন, ২টো বুথে রিগিং হচ্ছিল। ও শুনে গেছে। সিকিরিটিও নেয়নি। ফাকা পেয়ে গাড়ি ভাঙচুর করেছে। সৌমেন্দুকে স্পর্শ করার এখানে ওদের ক্ষমতা আছে, এই জেলায়? আমি বা ছেলে বা পরিবারের কাউকে স্পর্শ করার ক্ষমতা আছে? ২৪ ঘণ্টা লাগবে না। ২-৪ ঘণ্টার মধ্যে ওষুধ দিয়ে দেব। ওষুধ আমি অনেক প্রয়োগ করেছি। বাম রাজত্বে দেখেছি। আর দিদিমণিকে দেখছি। 


তিনি যোগ করেন, রামগোবিন্দ নামে একজনের নাম এসেছে, ও কী জিনিস জানি। কী ওষুধ দেব দেখা যাক। ওকে তো জাতীয় সড়কে উঠতে হয়। আর আমি জাতীয় সড়কে বসে আছি। শিশিরের মতে, পরাজয় নিশ্চিত জানার পর অনেকেই এটা করতে পারে। আরও কিছু করতে পারে। 


 



 


সৌমেন্দু বলেছে, বাহিনী ম্যানেজড হয়ে গেছে। বিষয়টিকে সমর্থন করে শিশির বলেন, ঠিকই বলেছে। মদ, মাংস, মেয়েছেলে। চুরির অফরুন্ত টাকা। এরা বাইরের ফোর্স, এখানে এসেছেন, কিছু জানেন না। যখন যা দরকার সাপ্লাই করছে। সাপ্লাই মাস্টার। তিনি যোগ করেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা খারাপ। পুলিশ অপারেট করছে। আমি যদি না চাই ওসি রাস্তায় পা দিতে পারবে না। 


আজ ছিল প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। সকাল থেকেই তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়, বোতাম টিপলেই বিজেপিতে ভোট চলে যাচ্ছে। এই নিয়ে কটাক্ষের সুর শিশির অধিকারীর গলায়। বলেন, সরস্বতী পুজোয় ভাং খাওয়ার মতো অবস্থা, মনে হয় না সাত তলা থেকে পড়ে যাচ্ছি। বিজেপি আসছে, তাই দেখছি যে বোতাম চালাও পদ্মে চলে যাচ্ছে। ভিত্তিহীন অভিযোগ। হলে পোলিং এজেন্ট জানতেন না? নাটক। তিনি যোগ করেন, ২০১১-তে বোতাম টিপলে বামে চলে যেত। ক্ষমতায় আসতে আমরাই ভিমরি খেতাম। কখনও হয়? খারাপ হলে রিপ্লেস হবে। 


গদ্দারদের জ্যাঠা শিশির অধিকারী বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কটাক্ষের জবাব দিয়েছেন বিজেপি নেতা। বলেন, মমতা তো আমায় দাদা বলে, জ্যাঠা হলে হব। 


 



 


তমলুকের বিজেপি নেতা প্রলয় পালকে ফোন করে ভোটে সাহায্য করার অনুরোধ করার অভিযোগ উঠেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। অভিযোগ এনেছে বিজেপি। কথোপকথনের অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের।  


এই প্রেক্ষিতে শিশির বলেন, সকাল থেকে নন্দীগ্রামে যত অধিবাসী আছেন, যাদের ফোন নম্বর আছে, সবাইকে অনুগ্রহ করছেন, আমাকে একটু দেখো।  বলছে ‘আমি তো ওদের উপর দায়িত্ব দিয়েছিলাম, রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট দিতে, আমি বারবার বলেছি, কিন্তু কথা শুনছে না, কী করা যাবে। আমাকেই যেতে দেইনি’। আমাদের কাঁধে রেখে পেরোতে চাইছেন। এতদিন বলেছেন শালা, গদ্দার, বেইমান, চিটিংবাজ, মীরজাফর। এখন বলছেন ওদের দায়িত্ব দিয়েছিলাম।


মমতার প্লাস্টার নিয়ে কটাক্ষ করেন বর্ষীয়ান নেতা। বলেন, ওনার ছলের চাতুরির অভাব নেই। ওই যে দেখলেন না পা ভেঙেছে। পিজিতে একদিনে ডাক্তার হাড় জুড়ে প্লাস্টার করে দিলেন। ডাক্তারদের নমস্কার।